এনটিআরসির ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে একটি আবেদনেই হোক সকল প্রতিষ্ঠান চয়েজ

প্রকাশিত: ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০
 মো: আসাদুজ্জামান (আসাদ)।।

দেশের মোট প্রতিষ্ঠানে ৯৭ ভাগ বেসরকারি । বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনওপ্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তির লক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজারের মত শুন্য পদ রয়েছে। আর সকল নিবন্ধনধারীরা তাকিয়ে আছে কখন গণবিজ্ঞপ্তির ছাড়ে।অনেকের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ৩৫ বছর অতিক্রম  করছে। 

 

উল্লেখ্য যে ২০১৬ সালের প্রথম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিবন্ধদিত প্রার্থী থেকে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ভিক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে দেখা যায় এক উপজেলার কম নম্বর প্রাপ্তরা নিয়োগ পেলেও অন্য উপজেলার বেশি নম্বর প্রাপ্তরা বঞ্চিত হয়। ফলে নিবন্ধনধারীদের বিভিন্ন আন্দোলন ও দাবীতে ২য় গনবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা, জেলা কোটা তুলে তুলে দিয়ে জাতীয় মেধা তালিকায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে সকল নিবন্ধনধারীরা স্বাগত জানিয়েছে।
তবে একটি বিষয় নিবন্ধনধারীদের চরম আর্থিক ক্ষতি দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা হল প্রতিষ্ঠান ভিক্তিক আবেদন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আলাদা আলাদা আবেদন ও নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয়। ফলে কম নম্বরধারীরা হাজার হাজার টাকার আবেদন করেও চাকরি হয় না।
তাই আতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় প্রতিষ্ঠান ভিক্তিক আবেদন নিবন্ধনধারীদের চরম আর্থিক সংকটে ফেলে দেয়। মন চাওয়া সত্বেও অনেক প্রার্থী টাকার অভাবে আবেদন করতে পারে না, ফলে দেখা যায় বেশি নম্বর পাওয়া সত্বেও  কম নম্বরপ্রাপ্তের চাকরি হয়।
তাই বেকার নিবন্ধনধারীদের কথা বিবেচনা করে ৩য় গনবিজ্ঞপ্তিতে একটি আবেদনে মাধ্যমে সকল প্রতিষ্ঠান চয়েজের সুযোগ দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো: আসাদুজ্জামান (আসাদ)
৩য় গণবিজ্ঞপ্তির প্রভাষক নিয়োগ প্রত্যাশী। 

 


Categories