এসপি মাসুদ-ওসি প্রদীপসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত

প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২০
আবদুল মান্নান: কক্সবাজার।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার(বরখাস্ত), বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক আইসি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী(বরখাস্ত), বাংলা সিনেমার খলনায়ক ইলিয়াস কোবরা সহ মোট আট জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইউ)  তাদের ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়ে আদেশ জারি করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটি চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
চিঠি ইস্যু করার দিন থেকে তিনদিনের মধ্যে স্থগিত করা হিসাবগুলোর নাম, নম্বর, স্থিতি এ সংক্রান্ত তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, হালনাগাদ লেনদেনের বিবরণী) পাঠাতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে যে ৮ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও তথ্য চাওয়া হয়েছে, তারা হলেন- পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বরখাস্ত কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, চুমকী কারান, প্রতীম কুমার দাশ, প্রতুশ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর মো. লিয়াকত আলী(বরখাস্ত) দিলীপ ও সিনেমার খলনায়ক ইলিয়াস কোবরা।
চিঠিতে প্রত্যেকের নামের পাশে জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়ার শামলাপুর এবিপিএন চেকপোস্টে ইন্সপেক্টর  লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। রামু থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করে।
পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহত মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৯ জন আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ (টেকনাফ)এর বিচারক পুলিশের ৭ আসামি ও ঘটনায় দায়ের করি পুলিশের তিন স্বাক্ষীর ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব-১৫।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন–সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।
বাকি তিন আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত কে সবশেষে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান  RAB এর মূখপাত্র লে: কর্ণেল আশিকু বিল্লাহ।

Categories