এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর বিবেকহীন ধারা সংশোধনের দাবি। 

প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২০
 মো.মনিরুল ইসলাম।।
জনবল কাঠামো  এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এ কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ  ধারা রয়েছে যা সংশোধন আবশ্যক। এই নীতিমালায় প্রভাষকরা চরম ভাবে হতাশ।  নীতিমালার ১১.৪ ধারা অনুযায়ী ৮ বছর পর ৫ঃ২ তথা অনুপাত প্রথার ভিত্তিতে ৭জন প্রভাষকের মধ্যে ২জন প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি সহ ৬ষ্ঠ গ্রেড (৩৫,৫০০টাকা)  বেতন পাবেন। অন্যদিকে অবশিষ্ট ৫ জন প্রভাষক সারাজীবন একই পদে থাকবেন। এই পদ থেকে অবসরে যাবেন । উক্ত ৫ জন প্রভাষক ১০ বছর পূর্তিতে ৮ম গ্রেড পাবেন, এতে তাদের  মাত্র ১ হাজার টাকা বেড়ে বেতন হবে ২৩০০০ টাক।
এ রকম বৈষম্যমূলক নীতিমালার কারণে একই যোগ্যতায় একই পদে চাকুরী করে কারো ৮ বছর পর বেতন বাড়বে ১৩৫০০ টাকা আর অধিকাংশ প্রভাষকের ১০ বছর পর বেতন বাড়বে মাত্র এক হাজার টাকা । এটা কি বিবেকহীন,  অযৌক্তিক, অমানবিক এবং অপমানজনক পাগলের নীতি মালা নয়?
 এছাড়া উক্ত নীতিমালায় প্রভাষক পদ থেকে অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে অধ্যক্ষ / উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আগের নীতিমালায় প্রভাষকরা ১২/১৫ বছর অভিজ্ঞতা থাকলে অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ পেতেন। এই নীতি মালায় দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সহ সুপার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ হওয়ার সুযোগ থাকলেও একজন প্রভাষকের যোগ্যতা অভিজ্ঞতা থাকলেও অনুপাত প্রথার কারণে সে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ হতে পারবেনা এটা কি উচ্চ শিক্ষা ধ্বংসের নীতি মালা নয়?
পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষক সমাজের পক্ষ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের  নিকট নিম্নোক্ত দাবী জানাচ্ছি।
১. অনুপাত প্রথা বাতিল করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সকলকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদায়ন। ক্রমান্বয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃজন।
২.পূর্বের ন্যায় প্রভাষকদের ৯ম গ্রেড থেকে সরাসরি ৭ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৩. ১২/১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় সকলকে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ দেয়া ।
৪. গ্রেড/স্কেল পরিবর্তনে হয়রানি রোধে বারবার আবেদনের পরিবর্তে অটো গ্রেড/স্কেল পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা ।
৫. সর্বোপরি, শিক্ষাক্ষেত্রে সকল বৈষম্য দূরীকরণে এমপিও ভুক্ত   স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা   একযোগে জাতীয়করণ দাবি।
মো. মনিরুল ইসলাম
আরবি প্রভাষক
চান্দেরচর দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা
হোমনা- কুমিল্ল।

 


Categories