
সৌমিত্র সাহা ,আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি।
২০২২ সালে ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়া যাবে- রেলমন্ত্রী।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালে ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাওয়া যাবে।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগে দ্রুতই আখাউড়া – আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। তাছাড়া আখাউড়া রেল জংশন থেকে লাকসাম রেল জংশন পর্যন্ত ডাবল রেললাইনের কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এসব প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলেই ২০২২ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে ট্রেন চলবে।’
এর আগে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন তিন দিনের সফরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, ফেনী, লাকসাম ও কুমিল্লাসহ চট্টগ্রামের দোহাজারী, চকরিয়া ও কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে আলাদা রেলমন্ত্রণালয় করার পর রেলকে সুশৃঙ্খল অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তাছাড়া রেলওয়ের বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে শক্ত হাতে নেমেছি।
আখাউড়া – আগরতলা রেলপথ এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজে ৪৫ শতাংশের অধিক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রকল্পপের কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করে মনে হয়েছে প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন, রেলের সকল রুট মিটারগেজের পরিবর্তে ব্রডগেজে রুপান্তর করার। এ কারণে লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেললাইন ডুয়েলগেজে রুপান্তর করতে হবে। আখাউড়া থেকে টুঙ্গি পর্যন্ত রেললাইনেও ডুয়েলগেজে রুপান্তর করতে হবে। এসব কাজ যদি সম্পন্ন হয় তাহলে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ ট্রেন আমরা চালাতে পারবো।