হ্যাটট্রিক জয়-ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর।

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২২

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী

হ্যাটট্রিক জয় -ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর।

“নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন” (নাসিকের) মেয়র টানা তিন মেয়াদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আজ রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে তাকে বিজীয় ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়।

“নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন” (নাসিকের) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার ১৯২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে দেখা যায়, আইভী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় পরস্পর বিপরীত মেরুতে। বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া তৈমূর স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

ncc ivy taimur

                             সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার, ফাইল ছবি

স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালে ও ১৯৭৭ সালের তৎকালীন পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আইভীর পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা। পরে চার বছরে এই পদে ছিলেন নাজিম উদ্দিন মাহমুদ।  ২০০৩ সালে নির্বাচন করলে প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকার কন্যা আইভী পৌর মেয়র নির্বাচিত হন।

“নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন” (নাসিকের) মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে নারী ও পুরুষ ভোটার প্রায় সমান। নাসিকে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৪ জন। প্রথমবারের মতো ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতে ইভিএমে ভোট নেয়া হয়। ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন জানায়, ৫০ শতাংশের মতো ভোট কাস্ট হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার

এদিকে রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ভোট গণনা শেষে নাসিক নির্বাচন পরাজয়ের বিষয়ে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জবাসী ও মিডিয়া আমাকে প্রচুর সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও প্রশাসনের কারণে আমার এই পরাজয় হয়েছে। কারণ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। আমার এমন কোনো লোক নাই, যাদের বাড়িতে পুলিশ যায়নি। আমি তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছিলাম- আপনি নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। কিন্তু মানুষ তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়েও ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি।

তৈমুর বলেন, আমাকে নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলা হয়েছে। আমাকে নির্বাচনি মাঠে থাকতে দেওয়া হবে না। এমনকি নির্বাচনের আগে আমার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের কি কাজ তাকে জিজ্ঞেস করা দরকার। তিনি নারায়ণগঞ্জে এসে কিসের মিটিং করেন।

নির্বাচনের আগে আমার পাশে কোনো দল ছিল না। পাশে কোনো দল থাকলে নির্বাচনের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। রাজনীতি করতে দল লাগে, কোনো পদ-পদবি লাগে না বলে জানান তৈমূর আলম খন্দকার।

 

 


Categories