
একদা রাজধানীর এক স্টেশনে আমি একা
সহসা হলো এক পরী রানীর সাথে আমার দেখা
পরী রানী জানালো সে আমার একসময়ের রেখা।
এরই মাঝে মেয়েটি জমিয়ে ফেলল আসর
যেন এখানে মোদের বিয়ের বাসর
আমার মনে হলো এ তো ময়দানে হাশর।
আমি যখন আসতে চেয়েছি
মেয়েটি আকুতি করে বললো এতোদিনে পেয়েছি
তাই এত তাড়া করে কি ছেড়েছি!
অবশেষে ঘন্টা খানেক পরে
নিয়ে গেল মোরে জোর করে
মাছ গলির বিজন একটি ঘরে।
সকালের আলোয় চেয়ে দেখি
আমার গায়ের রক্ত একি!
সোনালি রোদে করছে ঝিকিমিকি।
কষ্ট নিয়ে উঠে পড়ি
কে নিয়ে গেল আমার অটোমেটিক ঘড়ি
শুন্য পকেটের সব টাকা কড়ি।
বাড়ি এসে বললাম সব মাকে
মার চোখে আঁসু এরি ফাঁকে
দুঃখ করে কন, দোষ বা দিব কাকে ?
গিন্নি বলেন এরা হলো হাইজাকার
আস্তানা আছে তাদের অলিগলির ধার
মেয়েটিকে আমি দেখলাম না কভু আর।
লেখকঃ কবি, সহ অধ্যাপক।