
Exif_JPEG_420
অন্যের জিনিস না বলেই আনাই তো চুরি।সাধারণ কেউ এরুপ কাজ করলে তাকে বলাহয় চোর।আর বড় বাউচ্চ ঘরের বা সরকারী /বেসরকারী ৷ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কেউ তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবৈধভাবে অর্থ তসরুপ বা আত্মসাৎ করলে বা ঘোষ নিলে তাকে সন্মান করে বলা হয় দুর্ণিতি।তবে ধরণের সংগায় তো রুপ একটাই। উভয় তো চুরিই করা৷ তবে সাধারণ চোরের শাস্তির শেষ নেই।অথচ যারা সহস্র কুটি টাকা যারা উচ্চ শিক্ষিত৷ তারাই নানা ভাবে চুরি করে নিজের হিসাবে জমাদিয়ে নিজের করে অবলীলাক্রমেই। এই ধরণের বড় রকমের দাও মারাতো আর পাতী চোরের কাজ নয়!এটা কেমন মেধাবী দের দ্বাারাই ঘটছে অহ রহ। যেমন —ঠিকাদার প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে রডের স্হলে বাঁশ, সিমেন্ট ভালো টার স্হলে বালি বেশী ইত্যাদি বাটপারী।ডাক্তারদের অপকর্ম তো সাবরিনা শারমীন ই প্রমাণ করে দিয়েছে। সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যাংকার, মন্রী,রাজনৈতিক৷ দলের নেতা, এমপি,চেয়ারম্যান, কৃষিবিদ ইত্যাদি সকল পেশার উচ্চ কর্ম কর্তা মেধাবীরা ই তো ঐসব উচ্চ পদ পায়।কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলেও সত্যযে এই সব মেধারীগনই অনেকেই দূর্ণীতি করে ন।জনগনের সম্পত্তি নানা ভাবে নিজের হিসাবে জমা করেন।নামে বেনামে আত্মীয় গনের হিসাবে জমা করেন।অথচ চুরিকরা মহাপাপ কবিরা গোনাহ যা তওবা করা ছাড়া ক্ষমা হয়না। অন্যের গাছের পড়ে থাকা ফল কুড়িয়ে নিয়ে খাওয়াও তো অপরাধ! এসব চুরিও সম পাপ। কিন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হাই এর জন্যে অনেক টাই দায়ী।কেউ তো আর জন্ম থেকেই আর কেউ খারাপ হয়ে জন্ম নেয়না।শৈশবের পারিবারিক শিক্ষা থেকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকেই সন্তানের আচরণ, শালীনতা, কথা বলার স্টাইল,খাবার গ্রহন, আদব কায়দা সহ যাবতীয় শিক্ষা পেয়ে যুবক তার কর্ম জীবনে ডুকে।
প্রথমেই ছেলেমেয়ে মাবাবা ভাই বোনসহ পরিবারেরঅন্য দের কাছ থেকে শিখে।মায়ের গর্ভে পাঁচ মাস বয়স থেকেই মায়ের কর্ম কান্ড পর্য বেক্ষন করতে থাকে। মা খারাপ কিছু করলে, চুরি করে খাইলে বাযাই করে তাই শিক্ষা নেয় শুরুতেই। বড় পীর আঃ কাদের জিলানীর মা দশ পাড়া ক্কোরআনের হাফিস ছিলেন এবং কাদের কে গর্ভে নিয়ে রোজ পড়তেন।পরবর্তীতে কাদের জিলানী( রঃ) জন্মের পরথেকেই ঐদশ পাড়া মুখুস্হ তেলয়াত করতেন।পরবর্তীতে বাগদাদ পড়তে যাওয়ার পথে ডাকাত পড়লে ডাকাত সর্দার তাঁকে ছেড়ে দিতে বললেন যে ওর কাছে কোন দিরহাৃ নেই।এই সময় তিনি চুপ থাকলেই পারতেন।।কিন্ত তিনি বললে ন তাঁর নিকট চল্লিশ দিরহাম আছে সাথে।পরে ডাকাত সর্দার থলি খুলে চল্লিশ দিরহাম ই ছিলো! এভাবে অনেক প্রমাণ আছে।জন্ম গত পারিবারিক পরিবেশ সু স্বভাব গঠনের প্রথম স্হান।এই কারণেই ছেলেমেয়েরা ভালো, খারাপের সুচনা হয়ে থাকে।তাই সন্তান জন্মের ও জন্মের পর তার লালন পালনের উপ যুক্ত পরি বে শ দিতে হবে।যাতে সকল শিশুই যেন একই পরিবেশ একই শিক্ষা, একই ধরনের যাবতীয় সুযোগ করে দিতে হবে। আর অভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষা দেওয়ার শিক্ষা ব্য বস্হা করতে হবে।কেজি, সরকারী প্রাথমিক, বাংলা ওইংরে জী মাধ্যম, ক্যাডেট ইত্যাদি এত ধরনের শিক্ষা ব্যবস্হা কেন?এত বৈষম্যমূলক শিক্ষা কেন?এই বৈষম্য মুলক শিক্ষার জন্য তো ত্রিশ লক্ষ লোক শহীদ,দুই লক্ষ
মা তাদের সম্ভব হারান নাই!এখনও কেন সেই ব্রিটিশের কেরানী তৈরীর
শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষা কেন?একই মায়ের ঘরে জন্মনিয়ে কেন এই ভিন্নতা!এখানেই তো শিশুকে পার্থক্য করে বৈষম্য শিখানো হচ্ছে। অন্ত ত অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্য তা মুলক একই ধরনের কর্মমুখী শিক্ষার ব্য বস্হা করা হউক।এখানে প্রতিভা অনুসন্ধান করে, আগ্রহ মুখী বিভাজন করতঃ উচ্চ মেধার যারা তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য। আর যারা নিম্ন মেধার তাদের আর উচ্চ শিক্ষায় দিতে না দেওয়া। এদের প্রতিভামুখী অন্য প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ জন গোষ্ঠী গড়ে তোলা।
লেখক: মোঃ আঃ কদ্দুছ,