ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির কারণ স্বাস্হবিধি মেনে না চলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনা অাক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সতেরশো ছাড়িয়ে গেছে।জেলাতে অাক্রান্তের হার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো মানুষের অসচেতনতা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, স্বাস্হবিধি মেনে ঘর থেকে বের হতে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু কে শুনছে কার কথা।অনেক মানুষ মাস্ক পড়ছেনা। শহরের বিভিন্ন শপিং মল, ঔষধের দোকান,কাঁচা বাজার, হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার গুলোতে মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে অথবা স্বাস্হ সেবা নিচ্ছে।স্বাস্হ সচেতনতার বিষয়ে তারা একেবারেই উদাসীন। ব্যক্তিগত দুরত্ব অার সমাজিক দুরত্ব যেন তাদের কাছে এক অচেনা বিষয়।
অাজ ১৯ জুলাইয়ে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় মোট অাক্রান্ত হয়েছেন ১৭৫১ জন। মোট সুস্হ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭০৬ জন এবং মারা গেছেন২৮ জন।
সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, গতকাল ২৮৪ টি রিপোর্টের মধ্যে ৪৯ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে সদর- ১৬,আখাউড়া- ১৩, নবীনগর- ০৮,আশুগঞ্জ- ০৪,কসবা- ০৪, সরাইল- ০৩ ও নাসিরনগর- ০১ জন। গতকাল সুস্হ হয়েছে ৮ জন এবং মারা গেছেন ০১জন (নবীনগর)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে সদর উপজেলা। এ পর্যন্ত সদরে অাক্রান্ত হয়েছে ৫৮২ জন এবং সুস্হ হয়েছে ২১৪ জন। উল্লেখ্য, গত ১৭ তারিখ বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী অাফজাল হোসেন নিসার ও মেসার্স লাকী ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী মো.অারমান হোসেন সোহেল করোনায় অাক্রান্ত হয়ে রাজধানীর দুটি ভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম করোনা অাক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছিল ১০ এপ্রিল ; অার অাজ ১৯ জুলাই মোট অাক্রান্ত ১৭৫১ জন।
সিভিল সার্জন অফিস থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টগুলো এনালাইসিস করলে দেখা যায়, গত ১ জুলাই অাক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৬৮ জন। অার অাজ ১৯ জুলাই অাক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছ ১৭৫১ জন। গত ২০ দিনে মোট অাক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭৮৩ জন এবং প্রতিদিন গড়ে ৩৯ জনের বেশি অাক্রান্ত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় করোনা অাক্রান্তের এত বেশি কেন? তা জানতে মুঠোফোনে কথা বলেছিলাম উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জনাব পঙ্কজ বড়ুয়ার সাথে। তিনি ‘দৈনিক আমাদের ফোরামকে’ বলেন, জনসাধারনের স্বাস্হবিধি মেনে না চলা-ই এর অন্যতম প্রধান কারণ। তিনি অারো বলেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতিদিন ৫ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি অফিসের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই ২০২০ শনিবার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরসহ জেলার ০৯ টি উপজেলায় সরকারি নির্দেশাবলী ভঙ্গ করে গণপরিবহন পরিচালনা , মাস্ক পরিধান ব্যতিত বাহিরে ঘোরা-ফেরা করা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/দোকান-পাট পরিচালনার অপরাধে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ১০১ জন ব্যক্তিকে ৫৮,২০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।