স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছর পরেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা হয়নি।

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২০

গত এক যুগের উপরের এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারী নামেমাত্র উৎসব ভাতা পেয়ে আসছে। এর আগে উৎসব ভাতা পেত না। ২০০৩ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতার দেওয়ার সিন্ধান্ত হয় এবং অক্টোবর মাসে তা কার্যকর হয়। সভায় সিন্ধান্ত হয় শিক্ষকদের মূল বেতনের ৫০%, যা দুই ঈদে ভাগ করে ২৫% করা হয়। আর তখন থেকে ২৫% উৎসব ভাতা পাচ্ছে। একই সময়ে কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০০% উৎসব ভাতা দেওয়া হয়, যা দুই ঈদে ৫০% করে দেওয়া হয় । পৃথিবীতে কোন পেশার মধ্যে দূরের কথা, বাংলাদেশে কোন পেশার মধ্যে এ রকম বন্টন উৎসব ভাতা দেওয়ার পদ্ধতি নাই। তারপরেও একই প্রতিষ্ঠানের চাকুরি অবস্থায় শিক্ষক কর্মচারী মধ্যে উৎসব ভাতার মধ্যে বৈষম্য। যা অত্যন্ত দু:খজনক। অথচ দেশ যেখানে উন্নয়নের মহাসড়কে অব্যাহত তখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫%, যা একজন শিক্ষক বলা লজ্জাজনক কারণ শিক্ষক নাকি জাতি গড়ার কারিগর। অথচ শিক্ষকদের অার্থিক মর্যাদা হেয় করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োজিত সরকারি, বেসরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের অার্থিক দুরবস্থা কথা বিবেচনা করে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ তে বেতন ভাতা বৃদ্ধি করে প্রায় দ্বিগুণ করে দিয়েছেন  বর্তমান সরকার। সরকারি কর্মচারীদের প্রতি মননশীলতা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু দু:খের বিষয় এই যে, সারা দেশে কর্মরত প্রায় এমপিওভুক্ত ৫ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। স্বাধীনতা ৪৯ বছরের পরে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ বৈষম্য মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থী। তাই  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি বেসরকারী শিক্ষকদের প্রত্যাশা, শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান সহ এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় সকল বৈষম্য দূর করে মুজিব বর্ষে জাতীয়করণ ঘোষণা করবেন কারণ বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ তথা শিক্ষায় সকল নাগরিকদের সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়া।

 


Categories