সুন্দরগঞ্জে অবৈধ ক্ষমতার বলে সভাপতির পদ গ্রহণের জন্য নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির কর্যক্রম বন্ধ

প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২০

সুন্দরগঞ্জে অবৈধ ক্ষমতার বলে সভাপতির পদ গ্রহণের জন্য নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির কর্যক্রম বন্ধ
অহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর মাস্টারপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন উক্ত বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যগণ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের পুর্বের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে মনোনায়ন পত্র বিক্রয় শুরু করেন প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার।
তফসিল ঘোষণার পর, মনোনায়পত্র সংগ্রহ কারীদের মাঝে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত অভিভাবক ৪ সদস্যের নাম ঘোষণা করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমান।
নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যগণ সভাপতি গঠন করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ করা কথা থাকলেও। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন থামিয়ে রাখতে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যদের বঞ্চিত রাখার জন্য, বিধি মালা ও নিতি মালার বাহিরে কৌশলে নির্বাচনের পরে বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করে, নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যদের অবাঞ্ছিত করার জন্য সভাপতি পদে স্বামী রফিকুল ইসলামকে আনার জন্য ব্যাপক পায়তারা করে আসছেন ।

বিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুয়ায়ী, যে ব্যাক্তি বিদ্যালয়ে জমি দান করবেন, সে ব্যাক্তি আগামী কমিটিতে দাতা সদস্য পদে থাকতে পারবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমানের জানান, ঐ বিদ্যালয়ে রফিকুল ইসলামকে কোনো ভাবে সভাপতি ঘোষণা করার বিধান নেই ।
মন্ডলপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন ফাইনাল করা হয়েছে, যে সকল অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হলেন, মোঃ আতাউর রহমান, মেরিনা আক্তার, আঞ্জুয়ারা বেগম, আব্দুল মান্নান।
নির্বাচন ফাইনাল করা হলে নির্বাচনের পর কোন ব্যাক্তি নতুন দাতা সদস্য হয়ে ম্যানেজিং কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবেন না।
এই নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত ঐ দাতা ম্যানেজিং কমিটিতে আসতেও পারবেন না।
তিনি আরো জানান, মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচিত কমিটির কাগজপত্র জেলা শিক্ষা অফিসেও পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তাঁরা অন্যায়ের পক্ষে নয়, তাঁরা আইনের বাহিরে কিছুই করবেন না, বলে ও জানান সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমান।
অন্যদিকে সেই নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যের বঞ্চিত করার জন্য, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন আক্তারের স্বামী রফিকুল ইসলাম, ঐ নির্বাচিত কমিটির এক সদস্য আব্দুল মান্নানকে ম্যানেজ করে, বিভিন্ন প্রভাবশালীর ক্ষমতা বলে, সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার জন্য পায়তারা করে আচ্ছেন ।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য মোঃ আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান, মনোনায়ফরম ক্রয় করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নির্বাচিত হওয়ার পরেও কেনো ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
স্বাধীন দেশে, বসবাস করে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরেও কেনো অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে তাদের।
সরকারি বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষে অবৈধ ভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হবার লক্ষে বিভিন্ন প্রভাবশালীর দাঁড়ে দাঁড়ে প্রধান শিক্ষিকার স্বামী রফিকুল ইসলাম।
তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়নের লক্ষে নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যের কার্যক্রম চালু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন, উক্ত বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যগণ


Categories