সিনহা হত্যায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন লিয়াকত

প্রকাশিত: ১:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২০
আবদুল মান্নান, কক্সবাজার।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
রবিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহের আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য উপস্থাপন করা হয়। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টাব্যাপী জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন,তিনি(লিয়াকত) আমাদের কাছে তার দোষ স্বীকার করেছেন। আদালতে ও একই কথা বলেছেন। তবে জবানবন্দীতে তিনি কী স্বীকার করেছেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত শুক্রবার(২৮আগষ্ট) বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তৃতীয় দফায় তিনের রিমান্ডের একদিন পরই আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিচারক তামান্না ফারাহ এর আদালতে আনা হয়।
এর আগে ২৬ আগস্ট এপিবিএন সদস্য মো. আবদুল্লাহর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, ঘটনার দিন মনে হয়েছে ইন্সপেক্টর লিয়াকত শিকারের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কোরবানির ঈদের রাতে টেকনাফের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
৫আগষ্ট টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার,আইসি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী সহ ৯ জন পুলিশকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত(৩-টেকনাফ)এ নিহত মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদির আবেদন অনুযায়ী এলিট ফোর্স র্যাব-১৫ কে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন।
৬ আগষ্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত সহ ৭ পুলিশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রথম দফায় আদালত এই তিন জনের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ কে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।এর মধ্যে ৭ জন পুলিশ সদস্য, ৩ জন এপিবিএন সদস্য। বাকি ৩ জন পুলিশের মামলার সাক্ষী। এপিবিএনের তিন সদস্য ইতিমধ্যেই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 


Categories