লোকসভায় শপথ অনুষ্ঠানে সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরে হাজির হয়ে সমালোচনার মুখে পড়া সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরাত জাহান বলেছেন ‘সবাইকে নিয়ে যে ভারত’ তিনি তারই প্রতিনিধি।
শনিবার এক টুইটে নুসরাত আরো বলেন, “যে ভারত জাতপাত বা ধর্মের সমস্ত বাধার ঊর্ধ্বে। আমি সব ধর্মকেই শ্রদ্ধা করি। এখনও আমি একজন মুসলমান এবং আমি কী পরব তা নিয়ে কারও মন্তব্য করা উচিত নয়। পোশাক-সাজসজ্জার চেয়ে বিশ্বাসের স্থান অনেক উপরে। বিশ্বাসের মানে সব ধর্মের অমূল্য শিক্ষাগুলিকে মনে গ্রহণ করা ও তা পালন করা।’’ভারতের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াইয়ে নেমে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন টালিগঞ্জের নায়িকা নুসরাত।
নির্বাচনে জয়লাভের পর গত ১৯ জুন তিনি ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে বিয়ে করেন। বিয়ের কারণে তার শপথ গ্রহণও পিছিয়ে গিয়েছিল। গত ২৫ জুন তিনি লোকসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন।

এনডিটিভি জানায়, হাতে মেহেদী, মাথায় সিঁদুর এবং গলায় মঙ্গলসূত্র পরে নববধূর সাজেই শপথ নেন নুসরাত। যা পছন্দ হয়নি কট্টরবাদী সুন্নি সংগঠন দেওবন্দের ‘দারুল-উলুম’ এর। সেখানকার ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসিম তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন।

সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরপ্রদেশের কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী কথার লাড়ইয়ে নেমে যান বলে জানায় আনন্দবাজার। প্রাচী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদের’ অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘যদি কোনও মুসলমান মহিলা সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্র পরেন তাকে ইমামরা বলেন, হারাম। বলতে খারাপ লাগছে, লাভ জিহাদের নামে হিন্দু মেয়েদের আটকে রেখে তাদের বোরখা পরানো তাদের কাছে হারাম নয়?’’
এমন বিতর্ককের জবাব নুসরাত বেশ কড়া ভাষায়ই দিয়েছেন। টুইটারে তিনি বলেন, ‘‘কোনো ধর্মের কট্টরপন্থিদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিলে বা প্রতিক্রিয়া জানালে সেটা শুধু ঘৃণা ও হিংসাই ছড়ায়, ইতিহাস তার সাক্ষী।’’
সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোট পেয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট আসনে জয়লাভ করেছেন নুসরাত।
সংবাদটি পঠিত:
১২২