
সাংবাদিকের কাজ হল সংবাদ সংগ্রহ করা। সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত কর্মীকে বলা হয় সাংবাদিক। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা খুবই সম্মানজনক একটি পেশা। এ পেশায় সততা ও দায়িত্বশীলতা প্রথম ও প্রধান কথা। সাংবাদিকতা’র পূর্বশর্ত হচ্ছে নিরপেক্ষতা বা” নিরপেক্ষ থাকা।” আবার “নিরপেক্ষ” শব্দটির মধ্যে একাধিক প্রশ্নের উত্তরও নিহত হয়েছে যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বড় সংবাদকর্মী তথা সংবাদমাধ্যমগুলো মধ্যেও যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে। একজন সংবাদকর্মীকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ তৈরি করতে হয়, যা প্রত্যেক সংবাদকর্মীর জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। সংবাদটি প্রকাশের পর পাঠক প্রতিক্রিয়া কি হয় সেদিকেও একজন সংবাদকর্মী খেয়াল রাখতে হয়।
অপরদিকে সংবাদটির গুরুত্বকে ঘিরে পাঠকের পক্ষ-বিপক্ষ অবস্থান সত্বেও সংবাদটি বিপুল জনগোষ্ঠীর নিকট সমাদৃত হয়। এতে করে উক্ত সংবাদকর্মী ও সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। শুধু দেশে নয় দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাংবাদিকতার পূর্বশর্ত হচ্ছে “নিরপেক্ষতা” ও একজন সংবাদকর্মী নৈতিকতা।
সাংবাদিককে বলা হয়, জাতির মানদণ্ডের বিবেক। প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের বিভিন্ন ঘটনাবলী নিরপেক্ষ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। সাংবাদিকের সকল কিছু বিবেচনা করে একটি শ্লোগান সমগ্র পৃথিবীতে প্রচলিত আছে আর সেটা হল, “একজন প্রকৃত সাংবাদিকের কোন বন্ধু নাই বা সাংবাদিকের কোনো বন্ধু থাকতে পারে না।” বিশ্বের যেসব বড় বড় সাংবাদিক এসব স্লোগান উদ্ভাবন করেছেন তারা সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে এটি জন সম্মুখে হাজির করেছেন। সারা পৃথিবীতে এখনও লক্ষ লক্ষ সংবাদকর্মী নিরপেক্ষ বা নৈতিকতার মধ্যে আবদ্ধ তাদের জীবনকে বাজি রেখে সংবাদ সংগ্রহ করছে।
সংবাদের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে জ্ঞাপন করা, কেননা জানার ইচ্ছে মানুষের চিরন্তন।। সংবাদপত্র মাত্রই শিক্ষার বাহন বা উপকরণ হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য ও তথ্যের সমাবেশের মাধ্যমে সংবাদপত্র জনগণকে তার ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিধির বাহিরে শিক্ষিত করে তোলার ভূমিকা পালন করে।পাঠক যে জিনিসটা চাই, সেটাই তার কাছে বেশি আনন্দের। পাঠক মাত্রই কেউ মজা পান সংবাদ পড়ে,কেউ রাজনৈতিক বিষয়ে চর্চা করে আবার কেউ সাহিত্য পাতা পড়ে। এই জন্যই সংবাদপত্র বিভিন্ন ধরনের লেখা বা সংবাদ প্রকাশ পায় ,তাই সংবাদ শুধুই পাঠকের তৃপ্তি মিটায় না,পাঠক যা কামনা করেন বা পছন্দ করে এমন তথ্য ও তথ্যের সমাবেশের মাধ্যমে সংবাদ বৈচিত্র্যময় ভাবে পাঠকের চাহিদা মিটানো একজন সংবাদকর্মীর প্রধান কাজ।
আমি একজন শিক্ষক। বাংলাদেশে শিক্ষা বিষয়ক জনপ্রিয় জাতীয় অনলাইন পত্রিকা”দৈনিক আমাদের ফোরাম’এর সাথে ওতপ্রোতভাবে এর জন্ম লগ্ন থেকে জড়িত আছি। অধিকার ও সত্যের পক্ষে-“দৈনিক আমাদের ফোরাম”জাতীয় অনলাইন পত্রিকা তার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অনলাইন পাঠকের নিকট আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে। পত্রিকাটি ইতোমধ্য্যে গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।”বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম” কর্তৃক প্রকাশিত”দৈনিক আমাদের ফোরাম” পত্রিকাটি দেশ ও বিদেশে তাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতীয়,আন্তর্জাতিক, রাজনীতি,ধর্ম,শিক্ষা সংবাদ,খেলাধুলা,অর্থনীতি, জীবনযাপন,শিক্ষা,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।হাাঁটি হাাঁটি পা পা করে সূধীমহল থেকে শুরু করে সর্বত্র”দৈনিক আমাদের ফোরাম’পত্রিকা পরিবার নিরলসভাবে কাজ করার জন্য পত্রিকাটির পাঠকসংখ্যা জ্যমিতিক হারে বৃৃৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণের পত্রিকা “দৈনিক আমাদের ফোরাম” অবহেলিত শিক্ষকের কল্যাণে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
পত্রিকাটির সঙ্গে যারা জড়িত উপদেষ্টাপরিষদ, পরিচালনা পরিষদ,সম্পাদক,প্রধান বার্তাসম্পাদক, উপ সম্পাদক, সহ বার্তা সম্পাদক সহ সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
“দৈনিক আমাদের ফোরাম” প্রথম থেকে বলিষ্ঠ ও নির্ভীকভাবে খবর এবং খবরের পিছনে খবর পরিবেশন করে আসছে বিশেষ করে অবহেলিত শিক্ষকের মুক্তি,শিক্ষা সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে সবার আগে আমরা প্রকাশ করার নিরন্তর প্রচেষ্টা করি। একটি সংবাদপত্রের আয়ু নির্ভর করে তার পাঠক সংখ্যার ওপর,আর পাঠকসংখ্যা নির্ভর করে তার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর।
পরিশেষে আমি বলব সংবাদকর্মীরা শুধু নিরপেক্ষ হলে হবে না- তাদের নৈতিকতার জায়গাটাও প্রসার ঘটাতে হবে। আমরা অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলি।কোনো সংবাদপত্রের সংবাদ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়,তবে আমরা যদি আমাদের নীতি ও নৈতিকতার কথা মাথায় রেখে দেশ- বিদেশের খবরের পাশাপাশি, অবহেলিত শিক্ষকের কল্যাণে কথা,দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা লিখি তাহলে হয়ত উপকৃত হবে শিক্ষক কর্মচারী সহ এদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খেটে খাওয়া মানুষগুলো ।আগামী দিনে দেশবাসীর সামনে “দৈনিক আমাদের ফোরাম’ পত্রিকাটি দেশের উন্নয়নে,শিক্ষক পরিবারের অধিকার আদায়ে, শিক্ষার গুনগত মান অর্জনে, এ পত্রিকাটি গুরুত্ব পূর্ন অবদান রাখবে বলে আশা করি ।
“বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম”
কর্তৃক প্রকাশিত
“দৈনিক আমাদের ফোরাম “একটি জাতীয় অনলাইন পত্রিকা ও তৎসংশ্লিষ্ট সকলের উত্তরোত্তর উন্নতি ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।