
মোঃ দুদু মিয়া তানভির।
শিক্ষক নেতার খোলামেলা কথনঃ
আমি একজন এম পি ও ভুক্ত শিক্ষক, নেতা নই, শিক্ষক কর্মচারীদের ভাই, সহকর্মী।
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জাতীয়করণ করবেন। কিছু অর্জন করতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, কিন্তু দুঃখ হয় শিক্ষক নামের কিছু —আছে—ওরা আন্দোলন সংগ্রামে তো নেই, সাপোর্টেও নেই দুই টাকা দিয়ে সাহায্য ও করবে না, শুধু সরকারের সমালোচনা, শিক্ষক নেতাদের সমালোচনা করবে।
আমরা যারা সারা জীবন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছি এবং করছি কিছু পাওয়ার জন্যতো নয়ই শুধু জীবন থেকে “বে” উপসর্গ রিমুভ করতে। যাবতীয় কর্মকাণ্ড, আর শ্রম, ত্যাগ, অর্থ কড়ি সবই পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষক কর্মচারীদের সুখের নিবাস গড়ার জন্য রেখে যাচ্ছি, হয়তো একদিন কবরে চিরনিদ্রায় থেকে ওই শ্রেণির না পাওয়ার বেদনা শুনবো না।
আমারা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা অনেক কষ্টের নদী পাড়ি দিয়েছি, জীবন যৌবনকে ক্ষয়িষ্ণু কাঁটায় ভরে নিয়েছি, পরবর্তী প্রজন্ম অবশ্যই সুখী হোক, তাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের সোপান রেখে যাচ্ছি, কবরে থেকে ওদের মলিন মুখ দেখতে হবে না, ওরা ঈদ করবে, মার্কেট যাবে, কোরবানি দেবে, আমি যেখানেই থাকিনা কেন ওদের সুখ দেখে হেসে হেসে কাঁদবো, ওটা কিন্তু সুখের কান্না।
আমার গান কবিতা দ্রোহ ওদের সুখের জন্য, জীবনে মরণে সম্মান নিয়ে বাচঁবে,আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, শুধু “বে” উপসর্গ থেকে মুক্তির প্রহর গুনে স্রষ্টার কাছে জাতীয়করণ ও বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য দীর্ঘায়ু কামনাই আমার সব সময়ের প্রার্থনা, মহান আল্লাহর কাছে সকলের জন্য শুভকামনা নিরন্তর। জয় হোক, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের।
লেখকঃ সৈয়দ শওকতুজ্জামান
যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো) ও সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার জেলা শাখা।