
বেসরকারি শিক্ষকদের চার আনা বোনাস দেয়া হয়েছিলো প্রায় দেড় যুগ আগে। এরপর কতোটা বছর চলে গেলো। যুগ কালের কতো কি পরিবর্তন সাধিত হলো। কিন্তু,পরিবর্তন হলোনা শুধু বেসরকারি শিক্ষকদের চার আনা বোনাসের।
আজ মহামারি করোনায় স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। থমকে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো করোনার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশও এর ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অন্যান্যদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের ৫ লক্ষাধিক বেসরকারি শিক্ষকরাও।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় নানান কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। দুস্থ ও অসহায়দের খবাবারের ব্যবস্থা করছেন। ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌছানোর ব্যবস্থা করছেন। নেতা কর্মীদদের সাধারন মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন সংস্থা, দল ব্যক্তি তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরিমানে সামান্য হলেও দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষরা ও এ মহৎ কাজে অশংগ্রহন করেছেন। তারা তাদের এক দিনের বেতন করোনা তহবিলে দান করেছেন।
দেশের এহেন পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছেন। সাধারন চাকরিজীবীদের মতো বেসরকারি শিক্ষকরাও ঘরে বসে আছেন। বেতন ছাড়া তাদের আর বাড়তি কোন ইনকাম নাই। স্ত্রী পুত্র পরিজন নিয়ে দু’ মুঠো খেয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তদুপরি সামনে ঈদুল আজহা। সরকার বেসরকারি শিক্ষকদের ২৫% ঈদ বোনাস দিয়ে থাকেন। এ বোনাস কে ১০০% করার দাবি দীর্ঘ দিনের। ৫ লক্ষ বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ বোনাস দিতে বাড়তি আর কয়টি টাকাই বা লাগে। বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে ব্যায়বহুল নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তাই, বেসরকারি শিক্ষকরা মনে করেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যদি বেসরকারি শিক্ষকদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেন তাহলে ১০০% বোনাস দেয়া তেমন কোন কঠিন কাজ না।
বিষয়টি সম্পর্কে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লেখকঃ
মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন
জিরাইল আজিজিয়া ফাজিল মাদরাসা
বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।