“শাহীন শিক্ষা পরিবারের কর্ণধার জনৈক শাহীনের নামে কর ফাঁকিসহ প্রতারণার অভিযোগ”

আবু সামা- টাঙ্গাইল।
শাহীন শিক্ষা পরিবারের কর্ণধার জনৈক শাহীনের নামে কর ফাঁকি সহ ক্যাডেট কোচিং এর নামে প্রতারণার অভিযোগ।
টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে “শাহীন শিক্ষা পরিবার” নামে একটি বাণিজ্যমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাহীন কোচিং সেন্টার, শাহীন ক্যাডেট একাডেমী, শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ নামে বিভিন্নস্থানে শাখা প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা বাণিজ্য করে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জনৈক শাহীনের নামে কর ফাঁকি সহ ক্যাডেট কোচিং এর নামে প্রতারণার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
বৈশ্বিক মহামারী সংকট সময়ে বাংলাদেশ সরকার মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। একাধিকবার সময় বাড়িয়ে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুকি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ সীদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
কিন্তু শাহীন কোচিং সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তাদের শিক্ষা বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছেন। তারা তাদের একাডেমিক ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও সকল শাখার একাডেমিক ভবনের সন্নিকটে বিভিন্ন বাসাবাড়ি, ফ্লাট ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন ৷
সরেজমিনে জানা যায়, শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের মূল ভবনের বিপরীতে টাঙ্গাইল শহরের মজিদ ভূইয়া লেনে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ফ্লাটে কোমলমতি শিশুদের কোচিং এর নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
আমাদের অনুসন্ধানী দল গত রবিবার মজিদ ভূইয়া লেনে শাহীন শিক্ষা পরিবার আবাসিক ভবনের সন্নিকটে জান্নাতুল ফেরদাউস জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কোচিং পরিচালনা করছেন। একটি বাড়িতে কয়েকটি কক্ষে এক বেঞ্চে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী বসিয়ে পাঠদান করতে দেখা গেছে।
এ ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। তদুপরি বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মুখে কোন মাস্ক দেখা যায়নি। পাঠদানরত শিক্ষক দুজন মহিলা শিক্ষক ও একজন পুরুষ শিক্ষক নিজেদের নাম পরিচয় গোপন রেখে বলেন যে, সবাই কোচিং চালু রেখেছে। আমরা কোচিং চালালে দোষ কোথায়?
এ বিষয়ে শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান শাহীন সাহেবের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।