
শরীর না চললে খেলবো না, তাই অবসর নিয়ে ভাবছি-ফেদেরার।
এ বছরটা খুব বাজে সময় কেটেছে ফেদেরারের জন্য। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জানুয়ারিতে নোভাক জোকোভিচের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নেন তিনি। এরপর তো আর মাঠেই নামা হয়নি। হাঁটুর চোট আর করোনায় পুরো বছরটাই মাটি হয়ে গেলো তার।
চলতি বছর আরো দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিজেদের গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেওয়ার এটাই সেরা সময় রাফায়েল নাদাল আর নোভাক জোকোভিচের জন্য। কেননা ইনজুরির কারণে এ বছরের বাকি সময়টা আর হয়তো টেনিস কোর্টে দেখা যাবে না রজার ফেদেরারকে।
শুধু তাই নয়, নিজে যে ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন সেটাও স্পষ্ট করলেন সুইজাল্যান্ডের টেনিস তারকা। স্পোর্টসপ্যানারোমাকে ফেদেরার বলেন, ‘প্রায় এক যুগ আগে থেকেই আমার অবসর নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা হচ্ছে। এটা সত্য, আমার ক্যারিয়ার এখন শেষের দিকে। সামনের দুই বছরে কি হবে তা বলতে পারবো না। তাই অবসর নিয়ে ভেবেছি। শরীর না চললে খেলবো না।’
সব মিলিয়ে এ বছরটা খুব বাজে সময় কেটেছে ফেদেরারের জন্য। জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নেন তিনি। নোভাক জোকোভিচের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নেন তিনি। এরপর তো আর মাঠেই নামা হয়নি। হাঁটুর চোট আর করোনায় পুরো বছরটাই মাটি হয়ে গেলো তার।
ছেলেদের টেনিসে সর্বোচ্চ ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম আছে ৩৯ বছর ছুঁইছুঁই ফেদেরারের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাদালের ১৯টি। এছাড়াও ১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম আছে নোভাক জোকোভিচের।
ফেদেরার অবসরের কথা শুনে হয়তো একটু বেশিই খুশি হয়েছেন নাদাল। সুইস তারকা টেনিসকে বিদায় বললে সেরার সিংহাসনে বসার সুযোগ থাকবে তার। এজন্য অবশ্য আরো অপেক্ষা করতে হবে নাদালকে। কারণ ফেদেরারের চাওয়া টোকিও অলিম্পিক খেলে তবেই টেনিসকে বিদায় জানানো।