
এ.কে.এম সেলিম, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
রায়পুরায় ভূয়া পুলিশ আটক।
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই ভূয়া পুলিশ পরিচয়দানকারিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটকৃতরা হল মহেশপুর ইউনিয়নের বেগমাবাদ (কাচারিকান্দী) গ্রামের মরম আলীর ছেলে মো. মামুন মিয়া(৩০) এবং অলেক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া (২৬)।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের সাপমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা প্রায় ৮ টার দিকে সাপমারার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মাছ ব্যবসায়ী তাজেল ইসলামকে ৪/৫ জন ব্যাক্তি এসে বাজার থেকে ধরে টেনে হিচরে আলগী বাজার রাস্তার দিকে নিয়ে যেতে থাকে। লোকজন এগিয়ে গেলে মামুন নিজেকে আইনের লোক পরিচয় দেয় এবং তাজেলকে ইয়াবা বিক্রির দায়ে আটক করেছে বললে স্থানীয় লোকজন পিছু হটে।
কিন্তু মামুন ও তার সাথীরা যখন তাজেলকে মারধর করতে থাকে তখন স্থানীয় এক যুবক এসে মামুনের পরিচয়পত্র দেখাতে বলে। তখন মামুন পরিচয় দেখাতে না পারলে উপস্থিত জনতার সন্দেহ হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মামুনের সাথের দুইজন পালিয়ে যায়। কিন্তু মামুন ও মিজানকে সবাই মিলে আটক করে ফেলে। এবং মামুনের হাতে আহত মাছ ব্যবসায়ী মো. তাজেল ইসলামকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
পরে আটককৃত ভূয়া পুলিশ মামুন তাকে সাপমারা বাজারে বসবাসকারী মো. তাজুল ইসলামের কাছে নিয়ে যেতে বলে। তাজুল ইসলামের বাড়িও বেগমাবাদ। তাজুল ইসলাম তখন মামুনকে তার হেফাজতে নিয়ে ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো.শাহাবুদ্দীন ও স্থানীয় ব্যাক্তিদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলে জনগন বাধা দিয়ে তাকে পুলিশে দেওয়ার দাবি জানায়।
ভূয়া পুলিশের হাতে আহত তাজেলের ভাই নজর মিয়ার দাবি তার ভাই মাছের ব্যবসা করে রাতে বাড়ি ফেরে। তার কাছে সবসময় নগদ টাকা থাকে। ইয়াবার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা নেওয়াটাই মামুনের উদ্দেশ্য ছিল।
সংবাদ পেয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় রায়পুরা থানার এসআই রাফিউল করিম রাফি ঘটনাস্থলে এসে মামুন ও মিজানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল জানান, আটককৃত মামুন ও মিজানের বিরুদ্ধে আহত মাছ ব্যবসায়ী তাজেল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।