
অত্যান্ত সুপরিকল্পিত ভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল ১২ বার।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগ’র হাল ধরেন তখন বিএনপি জামাত সহ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী তখন থেকেই তাকে হত্যা করতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রে সক্রিয়।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় স্বেরাচারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয়ের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মী নূর হোসেন মারা যান।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে মিছিলে হামলা হয়। শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেদিন প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী নিহত হয়।
১৯৮৮ সালের ১৫ আগস্ট। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে থাকা অবস্থায়
ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী’রা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রীনরোডে শেখ হাসিনা ভোটকেদ্রে পরিদর্শন করতে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। অল্পের জন্য তখন তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
১৯৯৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেই গুলিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সেই ট্রেনমার্চ কর্মসূচীতে বেঁচে যায়।
১৯৯৫ সালের মার্চ মাসের কথা। আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথে পথে এক জনসভায় বোমা হামলা চালানো হয়। তখন দলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।
১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় কার্জন হল থেকে অস্ত্রধারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
২০০০ সালের ২০ জুলাই। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। আর এই বোমা গোয়েন্দাদের কাছে ধরা পড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত জনসভাস্থল ও তার আশে পাশের অবস্থান।
২০০১ সালের ২৯ মে। খুলনার রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঘাতকচক্ররা সেখানে বোমা পুঁতে রাখে। গোয়েন্দা পুলিশ তা উদ্ধার করে।
২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট। সাতক্ষীরার কলারোয়াতে শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে জামাত –বিএনপি চক্র ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে । অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ২ এপ্রিল। বরিশালের গৌরনদীতে শৈখ হাসিনার গাড়ী বহরে গুলিবর্ষণ করে জামাত – বিএনপির ঘাতক চক্র।
২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট। আওয়ামী লীগ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশস্থলে একের পর এক ছোড়া হয় গ্রেনেড হামলা। রচিত হয় ইতিহাসের বর্বরচিত আরেক কালো অধ্যায়। শেখ হাসিনা যে ট্রাকে উঠে বক্তব্য দিচ্ছিলেন সেই ট্রাকে বৃষ্টির মত নিক্ষেপ করেছে গ্রেনেড। শুধু গ্রেনেড হামলা করেই স্বাধীনতা বিরোধীচক্র ও তাদের দোসর’রা ক্ষান্ত হয়নি। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে একের পর এক
বুলেট চালিয়েছিল যা বুলেটপ্রুফ গাড়ী এবং দলিয় নেতাকর্মীরা মানবপ্রাচীর তৈরি করে সেই সময় শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও বিএনপি-জামায়াত ইসলাম’র বর্বরচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত হয় আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত ও পঙ্গুত্ব জীবন বরণ করতে হয়েছে প্রায় ৩’শ নেতাকর্মীকে।
লেখক
মোঃ, কাঞ্চন হোসেন
সাংবাদিক