” যাতায়াতের সুবিধার্থে যাত্রীসাধারণের ট্রেন ভ্রমণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা/প্রদর্শনের শর্ত বাতিল”

যাত্রীসাধারণের ট্রেন ভ্রমণের সময় যাতায়াতের সুবিধার্থে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা/প্রদর্শনের শর্ত বাতিল।
ভ্রমণকারী যাত্রীসাধারণের ট্রেন ভ্রমণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শনের শর্ত বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি এক আইডি কার্ডে পরিবারের সর্বোচ্চ চারজন সদস্যের টিকিট ক্রয় ও ট্রেন ভ্রমণ করা যাবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম।
গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের গণবিজ্ঞপ্তিতে রেলওয়েতে ভ্রমণকারী যাত্রীসাধারণের ভ্রমণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ভ্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। এ অবস্থায় বর্তমানে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করার বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে।
মালবাহী ট্রেন চলাচল ছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে আবারো দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৬ আগস্ট থেকে নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন চালু করারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া আন্তনগর ট্রেনের সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
করোনা পরিস্থিতিতে ৩১ মে থেকে মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছিল। সেই সঙ্গে গত ১৬ আগস্ট থেকে রেলের বহরে যুক্ত হয়েছে আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সবমিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জোড়া।