“মেজর সিনহা হত্যা: আরো চার পুলিশ আসামীর ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর”

প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০
            মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান
আবদুল মান্নান , কক্সবাজার।

মেজর সিনহা হত্যা: আরো চার পুলিশ আসামীর ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর।

মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার জেলে থাকা ৪ আসামীর প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আদালত নম্বর-৩) এর বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ্ রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার ১২ আগস্ট এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা এলিট ফোর্স র‍্যাব-১৫ এর পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আহমেদ গত ১০ আগষ্ট তাদের রিমান্ড আবেদনের দরখাস্ত করেন। ইতিপূর্বে আদালতের নির্দেশণা অনুযায়ী জেলগেটে ৮ ও ৯ আগষ্ট পরপর ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদে মেজর হত্যা সম্পর্কে তাদের কাছে  গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় বলে র‍্যাব দাবি করে। এর প্রেক্ষিতে আদালতে চার পুলিশ আসামির রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর করা চার আসামি হল পুলিশের বহিস্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
এর আগে গত ৬ আগস্ট আদালত থেকে রিমান্ডের আদেশ পাওয়া এই মামলার অপর ৩ আসামী যথাক্রমে বরখাস্ত হওয়া টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী (বরখাস্ত) ও এস আই নন্দলাল রক্ষিত (বরখাস্ত) কে রিমান্ডের জন্য এখনো তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন।
গত ৩১ জুলাই ঈদের রাতে খুন হওয়া মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দদুলাল রক্ষিত, সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া সহ ৯জনকে আসামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট সকালে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।  টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৯/২০২০, জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)।

Categories