মেজর সিনহা খুনের মামলাটি খুব সাবধানতার সাথে তদন্ত করা হচ্ছে -লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ

প্রকাশিত: ১২:১১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২০
আবদুল মান্নান, কক্সবাজার।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খুনের মামলাটি খুব সাবধানতার সাথে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান র‌্যাব এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, ৩১ জুলাই টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, উক্ত ঘটনায় মেজর মোঃ সিনহা রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন।এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের জন্য একজন চৌকস কর্মকর্তাকে আইও করা হয়েছে। যিনি ইতোমধ্যে সাত শতাধিক মামলার তদন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে কক্সবাজার সাগরপাড় সংলগ্ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস জলতরঙ্গের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ এসব কথা বলেন।
মেজর সিনহা খুনের মামলায় ৭ জন আসামীকে র‌্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তাদের রিমাণ্ডের চতুর্থ দিন আজ শেষ হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ৫ম দিন। ক্রমান্বয়ে ৭ দিন তাদের রিমান্ড কার্যক্রম চলবে।মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় অভিজ্ঞ বেশ কিছু কর্মকর্তা তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করছেন।
আপনারা অবহিত আছেন যে, আজ র‌্যাব মহাপরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন। ডিজি মহোদয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, আজ আমরা এপিবিএন এর সাব-ইন্সপেক্টর শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহকে আমাদের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা সিনহা হত্যাকান্ডের দিন চেকপোস্টে ডিউটিতে ছিলেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাদের এ সংক্রান্ত কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন  অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, খুনের ঘটনাকেন্দ্রিক সর্বমোট চারটির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে দুইটি মাদক মামলা আদালতের নির্দেশে র‌্যাব-১৫ তদন্ত করছে। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই হত্যা মামলাটি আদালতের আদেশে র‌্যাব তদন্ত করছে।
মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিনজন আসামী ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে র‌্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাদ শুরু করেনি। খুব শগিগিরই তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে র‌্যাব হেফাজতে এনে রিমান্ড কার্যক্রম শুরু করবেন।
র‌্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, ইতোমধ্যে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ জানিয়েছেন, তাদের ল্যাপটপসহ ২৯টি জিনিস পুলিশ জব্দ করেছিল। যেগুলো জিডিকর্মে রামু থানায় হেফাজতে রয়েছে। এসব র‌্যাবের তদন্তকারী দল হেফাজতে নিয়ে যাচাই করবে।

 


Categories