মান্দায় নববধূকে হত্যার দায়ে  স্বামী গ্রেফতার!

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০

মোঃ রুবেল হোসেন, মান্দা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় জাকিয়া সুলতানা ওরফে সুমি (১৪) নামে এক কিশোরী নববধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। থানা পুলিশ নিহত নববধূর স্বামীকে গ্রেফতারপূর্বক গতকাল শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মান্দা উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের নিজকুলিহার গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় নিহত কিশোরী নববধূ’র মা আসমা খাতুন বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। মামলায় নিহতের স্বামী ওয়াহেদ আলী ওরফে জয়কে (২২) গ্রেফতার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে মান্দা থানা পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, প্রেমের সম্পর্ক ধরে প্রায় চার মাস পূর্বে কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের নিজকুলিহার গ্রামের ইমরান হোসেন বাবুর ছেলে ওয়াহেদ আলী জয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। একই সাথে মোটা অংকের টাকা যৌতুকের দাবিতে সুমির ওপর নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন। এর জের ধরে ঘটনার দিন শুক্রবার দিনভর নববধূর ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

নিহত সুমির বাবা জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জয় মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার কিশোরী মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই জামাই জয়সহ পরিবারের লোকজন ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে তার ওপর নির্যাতন করে আসছিল। একই জের ধরে মেয়ে সুমিকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

মান্দা থানার ওসি তদন্ত তারেকুর রহমান সরকার জানান, শুক্রবার রাতে স্বামীর বাড়ির শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সুমির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুমির মুখ ও গলা দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় নিহতের বাবা-মায়ের দাবি তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ জানালার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পারিবারিক কলহের কারণে হত্যার এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পরই সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেই জানিয়েছেন ঐ পুলিশ কর্মকর্তা।


Categories