মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ ঘোষণা চায় প্রায় পাঁচ লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারী

প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২০

 

আলোকবর্তিকা, স্বপ্ন সারথি ও উন্নয়নের রোল মডেল ”
আজ রুপকথা নয় বরং সত্যিকারের একজন আলোকবর্তিকা হয়ে আপনি জনমানুষের ঘরের মানুষ। আপনি বুঝেন আমাদের হৃৎস্পন্দন। কতোটুকু সৎ সাহস আর নেতৃত্বের গুণাবলী থাকলে একজন সাধারণ নারী থেকে হয়ে উঠা যায় সারাবিশ্বের রোল মডেল তা অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছে গোটা পৃথিবী। আপনি যেমন মমতা দিয়ে আগলে রাখেন স্নেহের ছায়ায়, ঠিক তেমনি শাসন করেন একজন সুযোগ্য অভিভাবক হয়ে। আমাদের আছে শুধু ভালোবাসা আর দোয়া। আমাদের আছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আর আপনার মতো একজন দেশরত্ন। সারাজীবন এভাবেই বাংলাদেশকে আগলে রাখুন। বেঁচে থাকেন আমাদের মাঝে শতবর্ষী হয়ে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি
দেশের উন্নয়ন কিন্তু ৯৭% বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষকদের জীবনযাত্রা মানের উন্নয়ন হয়নি এখনো। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি দীর্ঘমেয়াদী নারী সরকার প্রধান হয়েছেন কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে আপনি হয়েছেন বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদী নারী সরকারপ্রধান। আর এর মাধ্যমে আপনি অতিক্রম করেছেন ইন্দ্রিরাগান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, চন্দ্রিকা কুমরাতুঙ্গার মতো বিশ্বখ্যাত নারী সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানদের। বিশ্বের ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদী নারী সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানদের শীর্ষ তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে। একই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়েছেন বিশ্বের নারী নেতৃত্বেরর আইকন। ১৯৯৬ সালে ১ম ক্ষমতায় আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২য় বার ক্ষমতায় আসেন ২০০৯ সালে এখনোও তিনি প্রধানমন্ত্রী। আর এই মেয়াদ পূর্ণ হলে ক্ষমতার ১৫ বছর হবে এবং আগামীতে ক্ষমতায় আসলে ২০ বছরে অতিক্রম করবে। অথচ যে সকল সরকারপ্রধানদের সাথে নামের তালিকায় নাম আছে তাদের দেশের শিক্ষার মান ভালো এবং শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত কারণ বাংলাদেশের এত বেতন বৈষম্য ও বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থা নাই কিন্তু এত দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষকদের জীবন যাত্রার মানের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। বেসরকারী শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান অতীতে যেখানে ছিল সেখানে আছে। যেখানে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী একই সুবিধা পাওয়ার কথা সেখানে বেসরকারী শিক্ষকবৃন্দ পাচ্ছে না,

৩% শিক্ষক ১০০ % সুবিধা ভোগী।
৯৭% এমপিওভুক্ত শিক্ষক সুবিধা বঞ্চিত। এই হলো আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র। কিন্তু কেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? অথচ রাষ্ট্রেরদায়িত্ব সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা। তাই একই রাষ্ট্রে দুই রীতি চলতে পারে না শুধু শিক্ষার মান উন্নয়ন করলে চলবে না পাশাপাশি করতে হবে শিক্ষকদের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন কারণ শিক্ষার মানের সাথে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান জড়িত। বড় বড় বিল্ডিং আর উপকরণের জন্য টাকা বরাদ্দ দিলে চলবে না, দিতে হবে শিক্ষকদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চিতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ৯৭% বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী তাদের সকল বৈষম্যের অবসান ঘটাবেন এই আশায় কারণ বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন পূরণ বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ।

মো : তোফায়েল সরকার

যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক

বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম,কেন্দ্রীয় কমিটি।


Categories