৫:২ অনুপাত প্রথা বাতিল চায় পদোন্নতি বঞ্চিত বেসরকারি প্রভাষক সমাজ

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

মোঃ আশরাফুল লতিফ(তুহিন), ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

বৈষম্য মূলক অষ্টম গ্রেড প্রত্যাখ্যান করবে কলেজ শিক্ষকরা /অনুপাত প্রথা বাতিলের দাবীতে মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীকে এক যোগে এস এম এস করবে কলেজের প্রভাষকরা।
এমপিওভুক্ত বেসরকারী কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী কলেজের শিক্ষকদের বৈষম্য সৃষ্টিকারী অষ্টম গ্রেড , অনুপাত প্রথা বিলুপ্তির দাবীতে জনাব জ্যোতিষ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও জনাব জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ১৮.০৬.২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধায় ভার্চুয়াল সভা হয় । সভায় বেসরকারী কলেজ,মাদ্রাসা ও কারিগরী কলেজের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে জনাব এম এ মতিন, শান্ত সরকার, আব্দুল মান্নান, দেবাশীষ পাল ,রতন কুমার সরকার, মোহাম্মদ আলী শামীম, জালাল উদ্দিন, এমাজ উদ্দিন, কামরুন্নাহার, মহিমা মনির, আশরাফুল লতিফ তুহিন, মন্জুরুল হক, আব্দুর রউফ , শফিকুল ইসলাম, পলাশ মজুমদার,ওয়াসিকুর রহমান, মোশারফ হোসেন,ফাতেমাতুস জহুরা,নাসির উদ্দিন,সযপুল ইসলাম,শেখ নাসের জামাল,নজরুল ইসলাম, আতিকুল্লা প্রমুখ বক্তব্য দেন । বক্তারা বলেন প্রভাষক পদে কর্মরত জুন’২০২০ এ তিনটি ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্ত হবেন তার স্কেল হবে ২৫৪৬৭ টাকা যা কিন্তু উচ্চতর গ্রেডে (৮ম গ্রেডে ) তার বেতন ২৩০০০ টাকা । নীতিমালা অনুযায়ী উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার পর ইনক্রিমেন্ট বা স্কেলের যেটি বেশী তা প্রাপ্য হবেন সে হিসাবে একজন প্রভাষকের বেতনের কোন পরিবর্তন হবে না ।এ রকম সকল উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একই অবস্থা । গ্রেড পাবে স্কেল পাবে না এটা কোন নীতিমালা হতে পারে না । অবিলম্বে এ নীতিনালার সংশোধনী চায় । একজন প্রভাষক অনুপাত প্রথার কারণে প্রভাষক পদে থেকেই অবসর গ্রহন করেণ পক্ষান্তরে উনার ছাত্র অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে সহকারী অধ্যাপক হন , তাছাড়া একই প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা, একই সময়ে যোগদানকারী একজন আজীবন প্রভাষক থেকে যান অন্য জন সহকারী অধ্যযাপক হন তা হতে পারে না । উল্লেখ্য যে পূর্বে কলেজ শিক্ষকরা নবম গ্রেড থেকে সরাসরি সপ্তম গ্রেডে পদায়ন হত কিন্তু বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী একজন প্রভাষক ১০ বছর সফল ভাবে চাকরী করার পর সপ্তম গ্রেড থেকে অষ্টম গ্রেডে পদায়ন হবেন । গ্রেড পরিবর্তন হলে একজন শিক্ষককে বারবার আবেদন করতে হয় । বক্তারা আরও বলেন প্রতিবার আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ডিজি অফিস পর্যন্ত সেলামী দিতে হয় ও শিক্ষকরা হয়রানির শিকার হন কিন্তু সকল শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য ডিজি অফিসের সার্ভারে সংরক্ষিত আছে তাহলেও কেন বার বার আবেদন করতে হবে? সভা থেকে সরকারের নিকট নিম্নোক্ত দাবী সমূহ পেশ করা হয়। ১. পূর্বের নিয়মে নবম গ্রেড থেকে সরাসরি সপ্তম গ্রেডে পদায়ন। । ২. অনুপাত প্রথা বাতিল করে নিদিষ্ট সময় শেষে সকলকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদায়ন। ক্রমান্বয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃজন। ৩. ১২ বছরের অভিজ্ঞতায় সকলকে উপাধ্যক্ষ ও ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় অধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ দেয়া । ৪. গ্রেড না স্কেল পরিবর্তনে হয়রানি রোধে বারবার আবেদনের পরিবর্তে অটো গ্রেড বা স্কেল পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা । ৫. সর্বোপরি এমপিও ভূক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে জাতীয়করণ। এ দাবী সমুহ মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর ভেরিফাইড ফেইজবুক মেসেন্জারে পোষ্ট সরাসরি সেন্ড করতে সকল কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকদের অনুরোধ হয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবী সম্বলিত স্বারকলিপি সকল শিক্ষক সংগঠন, শিক্ষাঅধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রনালয় , মাননীয় শিক্ষা উপ মন্ত্রী , মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীও প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে ইমেইলে প্রেরণ করা হবে।


Categories