
বেসরকারি শিক্ষকদের দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবি হল জাতীয়করণ। বাংলাদেশের প্রায় ৯৭ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল বেসরকারি। একটি দেশের বৃহত্তম অংশকে বাদ দিয়ে শিক্ষা উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আর এই বেসরকারি হওয়ার কারণেই বিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে। আর এসব ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য হয়ে থাকেন এলাকার প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর ব্যাক্তিগণ।
অনেক সময় কিছু অসাধু সভাপতি তাদের ইচ্ছা মত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন। কোন শিক্ষক একটু পতিবাদ করলে তার হয়রানির শেষ নেই।
আবার বদলীর সুযোগ নেই ফলে সেই শিক্ষকের চলে মানসিক যন্ত্রনা। শিক্ষকের এরুপ মন মানসিকতা নিয়ে শিক্ষার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
কিছু স্কুল,কলেজ, জাতিয়করন হল তা কেবল শহর কেন্দ্রীক। উপজেলা সদর থেকে বিভাগীয় শহর পর্যন্ত, আর সেখানে পড়াশুনা করে চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী ও উচ্চ বৃত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা।
আর গ্রামের সেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন দিয়ে পড়াশুনা করতে হয় কৃষক,শ্রমিক, জেলের সন্তানের।ফলে দেখা যায়- অভিভাবকগন অর্থিক যোগান না দিতে পারায়, ৩০-৪০% ছাত্র ছাত্রী মাধ্যমিক লেভেল পার না হতেই ঝরে যায়।
আবার দেখা য়ায শিক্ষকরা একই যোগ্যতা নিয়ে কেউ সরকারি হল,আবার কেউ বেসরকারি থেকেই গেল,মনে হয় এটা যেন কপালের লিখন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এনটিআরসির মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।
তাই শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রী বৈষম্য দূর করতে সকল স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা একযোগে জাতিয়করন করা হোক।
মো: আসাদুজ্জামান
সহকারী শিক্ষক,
কামাত আংগারিয়া দাখিল মাদ্রাসা,
ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম।