বিনা কারণ ও নোটিশে স্টপ পেমেন্ট: মানবেতর জীবনযাপন করছেন দপ্তরী নজরুল

প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

 

আবদুল মান্নান

 

মহামারী করোণাকালীন ১১ মাস বেতনহীন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন জগন্নাথপুর রাণীগঞ্জ বাজার দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার দপ্তরী নজরুল ইসলাম।কর্মহীন অসহায় লোকদের যেখানে সরকার আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সেখানে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের নজরুল ইসলাম চাকরিতে থেকে ও বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে।

 

জনাব নজরুল ইসলাম বলেন, কোন কারণ দর্শানো কিংবা নোটিশ ছাড়া নভেম্বর ২০১৯ সালের এমপিও শীটে তার নামের পাশে Stop pement লেখা বসিয়ে দেয় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ঢাকাস্থ মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর মাদ্রাসার প্যাডে অধ্যক্ষের ফরোয়ার্ডিং দিয়ে ১৩/১/২০২০ ইংরেজি তারিখে সংশোধন করার জন্য একটি আবেদন জমা দেন অসহায় দপ্তরি নজরুল।

 

মাদ্রাসা অধিদপ্তরে আবেদন জমা দেওয়ার পর আরো ৯ মাস অতিবাহিত হয়ে যায়। দপ্তরী নজরুল ইসলামের এমপিও শিট থেকে সেই অভিশপ্ত “স্টপ পেমেন্ট”এখনো কর্তন করেনি অধিদপ্তর। ফলে তিনি বেতন বঞ্চিত দীর্ঘ ১১মাস।

 

ভুক্তভোগী দপ্তরী নজরুল ইসলাম বলেন,২০০৪ সালের অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত হয়ে বিরতিহীনভাবে অদ্যাবধি চাকরিতে নিয়োজিত আছি। গত বছর নভেম্বর থেকে আকস্মিকভাবে বিনা কারণে আমার বেতন বন্ধ করে দেয় অধিদপ্তর।তখন আমার সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। যেখানে অল্প বেতন ৯৬৯৯ টাকা দিয়ে আমার সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে আজ ১১ মাস পর্যন্ত কোন নোটিশ জারি ছাড়া আমার বেতন বন্ধ হয়ে যায়।

 

তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। সশরীরে হাজির হয়েছি। অধিদপ্তর থেকে আশ্বস্ত করার পরও এখনো এ বিষয়ে সুরাহা না হওয়ার কারণে প্রতিমাসে আমার জন্য সরকার থেকে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করতে পারছিনা। ফলে ৪ সন্তানের টানাপোড়েনের সংসারে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।২০ কোডের এই অসহায় দপ্তরীর মাসিক বেতন ৯৬৯৯ টাকা সর্বসাকুল্যে।

 

তিনি এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সহকারি-পরিচালক জনাব আফাজ উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সূদৃষ্টি কামনা করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে আত্মহত্যা ছাড়া তার আর কোন পথ খোলা থাকবেনা।

 


Categories