বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ শিক্ষা পরিবারের শ্রদ্ধা নিবেদন।

সন্তোষ চন্দ্র দাস, আরুয়াইল, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ শিক্ষা পরিবারের শ্রদ্ধা নিবেদন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধিন সরাইল উপজেলার আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আরুয়াইল ইউনিয়ন শাখার সম্মানিত সভাপতি হাজী আবু তালেব ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আরুয়াইল ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক মো: বোরহান উদ্দিন এবং উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন মৃধা মহোদয়ের নেতৃত্বে একঝাঁক শিক্ষক-কর্মচারীর সমন্বয়ে সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও উনার পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ (যাদেরকে ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়) সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অরুয়াইল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি জনাব হাজী আবু তালের। সাথে সাথে এক বক্তব্যের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণসহ বেশ কিছু দাবি দাওয়ার কথা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন।
এরপর শুরু হয় বিভিন্ন ঐতিহাসিক, দর্শনীয়, নান্দনিক, অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি দর্শন ও অনুভব করা।
কি অপরুপ, অসাধারণ, অপূর্ব, মন মাতানো, প্রকৃতির অতুলনীয় সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বন্দর নামে খ্যাত মংলা সমুদ্র বন্দর অবলোকন করে মংলার ওপারে “সু্ন্দরবন প্যালেস” এ আরামপ্রদ রাত্রি যাপন। মংলা সমুদ্র বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি অবলোকনের পর আমাদের স্নেহের ছোট্ট ভাই কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য মো: ইয়াকুবের বন্ধু মংলা এলাকার ৫ বারের কমিশনার জনাব আবদুর রাজ্জাক ভাই এর আন্তরিকতা, সহযোগিতা, আমাদের থাকার ব্যবস্থাপনাসহ মজাদার ও চমকপ্রদ আপ্যায়ন সত্যিই প্রশংসনীয় ও কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্বরণীয় ।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আবু তালেব ভাইয়ের সৌজন্যে আকর্ষণীয় নাস্তা পরিবেশনের পর কনের মত সাজানো ইন্জিন বোটের উপর সোফায় বসে পশুর নদীর তীর বেয়ে সুন্দরবন যাত্রা। পশুর নদীর বুক বেয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছিল বুটটি সুন্দরবনের করমজল অঞ্চলে। জোয়ার ভাটার অসাধারণ খেলা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই করমজল পয়েন্টে। দেশের সর্ব বৃহৎ ম্যান গ্রোভ বন “সুন্দরবনের” প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখা, প্রকৃতির অতুলনীয় সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যাওয়া ও ওয়াচ টাওয়ারে উঠে পুরো সুন্দরবনের সৌন্দর্যকে একযোগে দেখা সত্যিই এক অভাভনীয় সৌভাগ্যের ব্যাপার ।
সুন্দরবন ঘুরে প্যালেসে ফিরে ফ্রেশ হয়ে নদীর তরতাজা মাছের রাজ্যে আবারো হাবুডুবু খেয়ে চলত শুরু ঐতিহাসিক বাগেরহাট অঞ্চলের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও এর আশপাশের অসাধারণ সব ফুলের রাজ্যে। এরপর খান জাহান আলী র মাজার জিয়ারত শেষে গোপালগঞ্জ হয়ে দেশের টাকায় নির্মিত বর্তমান সরকারের উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু দর্শন ও মাওয়া প্রান্তে সেতুর সৌন্দর্য ঘিরে উপভোগের আলোচনাশেষে পদ্মার ইলিশের করকরে ভাজা ও ভর্তা দিয়ে রাতের ডিনার।
অতপর বিদেশি সাজে সাজানো দেশীয় রাস্তা দিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোঃ রেহান উদ্দীন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আখতার হুসাইন, গণিত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র দাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ শাহ আলম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আনোয়ার হোসেন, শারীরিক শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট আল আমিন, নাসির উদ্দিনসহ আরও অনেকে।