“ফুটফুটে স্বাস্থ্যবান এক নবজাতক ঘণ্টা খানেক যেতে না যেতেই হয়ে গেল রোগা নবজাতক!”

প্রকাশিত: ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২০

ফুটফুটে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান এক নবজাতক ঘণ্টা খানেক যেতে না যেতেই হয়ে গেল রোগা নবজাতক!

অস্ত্রোপচারের পর বাবার কাছে দেয়া হলো ফুটফুটে স্বাস্থ্যবান এক নবজাতককে। সেই নবজাতকের সঙ্গে ছবি তোলেন সবাই। কিন্তু ঘণ্টা খানেক না যেতেই স্বাস্থ্যবান নবজাতক হয়ে গেল রোগা।

স্বজনদের অভিযোগ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বদলে দিয়েছে নবজাতকটি। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেডিকেল সেন্টারে (মিশন হাসপাতাল) এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার আখাউড়া উপজেলা সদরের রাধানগর এলাকার বিশ্বজিৎ দাসের স্ত্রী দীপা রানী দাস প্রসব ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে খ্রিষ্টিয়ান মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন। এরপর প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত সিজারিয়ানের জন্য বলা হয় দীপার স্বজনদের। সে অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অস্ত্রোপচার কক্ষের সামনে অপেক্ষারত দীপার স্বামী শুভসহ অন্য স্বজনদের কাছে একটি মেয়ে নবজাতক দেয়া হয়।

বিশ্বজিৎ দাস বলেন, অস্ত্রোপচারের পর যে নবজাতক দেয়া হলেছিল সেটি ছিল সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান। সেই নবজাতককে কোলে নিয়ে ছবি তোলেন সবাই। ঘণ্টা খানেক পর ক্লিনিকের একজন সেবিকা ডেকে নিয়ে বলেন নবজাতকের একটি পা বাঁকা। কিন্তু প্রথম যে নবজাতক দেয়া হয়েছিল সেই নবজাতকের সঙ্গে সেবিকার দেখানো নবজাতকের চেহারার কোনো মিল নেই। এছাড়া নবজাতকটি রোগা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খ্রিষ্টিয়ান মেডিকেল সেন্টারের (মিশন হাসপাতাল) ব্যবস্থাপক ডেভিড বেঞ্জামিন সিংহ বলেন, আমাদের মিশন হাসপাতালে এ ধরনের কার্যকলাপ ১২৬ বছরের জীবনে কখনও হয়নি, হবেও না। পা বাঁকা শুনে যদি বলেন বদল হয়ে গেছে, তখন আর আমাদের বলার কিছু থাকে না। এ ধরনের বদনাম বা অপবাদগুলো যদি কেউ আমাদের দেয়, তখন দুঃখ লাগে। আমরা সততার সঙ্গে এখানে সার্ভিস দেই।


Categories