“প্রাথমিক তদন্তে বলেছে, এসি থেকে নয় বরং গ্যাসের কারণেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ!”

প্রাথমিক তদন্তে বলেছে, এসি থেকে নয় বরং গ্যাসের কারণেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ!
বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওদিকে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রাথমিক তদন্তে বলেছে, এসি থেকে নয় বরং গ্যাসের কারণেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মসজিদের নিচ দিয়েই গেছে তিতাস গ্যাসের লাইন।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, মসজিদের নিচে তিতাস গ্যাসের যে লাইন আছে সেটা লিকেজ হয়ে আছে দীর্ঘদিন। প্রাথমিক তদন্তে আমরা পেয়েছি, মসজিদের টাইলসের ফাঁকা অংশ দিয়ে ভেতরে গ্যাস বেরুতো। এই গ্যাস জমতে জমতে এক সময় এসে বিস্ফোরণ ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তিতাসের সঙ্গে কথা বলবো।
সরেজমিনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। মসজিদের ভেতর জমে থাকা পানিতে বুদ্বুদ উঠতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, অনেক আগে থেকেই নামাজ পড়ার সময় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেতো। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাসের স্থানীয় অফিসে অভিযোগ করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। তাদের অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তিতাস বলছে, তারা কোনো অভিযোগ পায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তখন এশার নামাজের জামাত মাত্র শেষ হয়েছে। এ সময় মসজিদের ভেতরে ৫০ জনের অধিক মুসল্লি ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়েও অনেকে দগ্ধ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ জন।