
রাজধানীর আদাবরে চার মাস বয়সী শিশু সাদিয়াকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে প্রতিবেশী পারভীন আক্তার। হত্যাকাণ্ডের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
গ্রেফতারকৃত পারভীন আক্তার দায় স্বীকার করে বলেন, আমার দুই সন্তান সাদিয়াদের ঘরে গেলে গালিগালাজ ও মারধর করতেন তার মা বাবা। এর প্রতিশোধ নিতেই এবং ‘উচিত শিক্ষা’ দিতেই সাদিয়াকে খুন করেন পারভীন।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উত্তর আদাবর ৩৮/১০ একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় চার মাস বয়সী শিশু সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে প্রতিবেশী পারভিন আক্তারের সঙ্গে নিহত শিশু সাবিহার বাবা শাহজাহান ও মা মুর্শিদা বেগমের সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়। ওই ঘটনায় আদাবর থানায় একটি মামলা হয়। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, প্রযুক্তি সহায়তা ও গােপন সূত্রের ভিত্তিতে গত ৫ জুলাই ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী পারভিনকে (২৪) গ্রেফতার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তিনদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সাদিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।