
আসাদুজ্জামান, শিবপুর, নরসিংদী।
শিবপুরে আদম বেপারী রহিমের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলা কয়েকটি শিরোনামে অনলাইন নিউজ দৈনিক মানব সমাজ, নরসিংদী নিউজ টোয়েন্টিফোর ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আব্দুর রহিম ওরফে মাহফুজের বড় ভাই মোঃ ফারুক।
সংবাদে আমার ভাইকে নারীলোভী, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে শ্রাবন্তীকে বিবাহ, শিমুলিয়া গ্রামের মুসলিম ভুইয়ার মেয়ে জিমিকে মারধর ও যৌতুক চাওয়া, অবৈধভাবে আদম পাচার করে বাড়ি তৈরি করা, অর্থের দাপটে অপকর্ম করা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আমার ভাইয়ের ও আমাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে শিবপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের আবুল বাসেদের মেয়ে শ্রাবন্তী আক্তার শিফাকে আমার ভাই বিবাহ করার পর থেকেই তাদের সংসার আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে চালিয়ে আসছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই শিফা, তার মা আসমা বেগম শিবপুরের পাঁচতলা বাড়ির দুটি ফ্লাট লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমার ভাই এতে রাজি না হওয়ায় আমার ভাইকে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
এরই জের ধরে গত ০৫/০৬/২০ তারিখে শ্রাবন্তী আক্তার শিফা, তার মাতা ও তার ভাই আমার ভাইকে তাদের নামে দুটি ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে তাতে রাজি না হওয়ায় ভাইকে তারা রুমে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আটকে দেয়। পরের দিন এসপি সার্কেল শিবপুরের সহযোগিতায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ এসে আমার ভাইকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের অত্যাচার নির্যাতনে নিরুপায় হয়ে আমার ভাই গত ০৪/০৮/২০ তারিখে নরসিংদী নোটারী পাবলিক ও কাজির মাধ্যমে শ্রাবন্তী আক্তার শিফাকে তালাক দেন। তালাকের পর গত ০৬/০৮/২০২০ খ্রিঃ তারিখে শ্রাবন্তী আক্তার শিফা আমার পিতা, ভাই ও বোনকে আসামী করে নরসিংদী আদালতে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা করে।
পরবর্তীতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ভয় ভীতি ও হুমকি দিলে শিবপুর মডেল থানায় গত ১৮/০৮/২০২০ তারিখে আমি জিডি করি। তারপরও তারা ক্ষান্ত না হয়ে গত ২৫/০৮/২০ তারিখে আমার ভাইয়ের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শ্রাবন্তী আক্তার শিফা, তার মাতা আসমা বেগম ,তার ভাই সাজিদসহ বহিরাগত আরো ১০/১২ জন লোক নিয়ে শিবপুর কলেজ গেইট সৈদেরগাঁওয়ে আমার ভাইয়ের রহিম টাওয়ারের নিচতলার গেইটের ২টি তালা, চার তলার রুমের ১টি তালা কেটে নগদ টাকা, ব্যাংকের চেক বই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়।
বিষয়টি এসপি সার্কেল শিবপুর ও শিবপুর মডেল থানাকে জানালে মডেল থানার দারোগা আরিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে এসপি সার্কেল শিবপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমার ভাই আদম ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। যৌতুক চাওয়ার দাবীটি অসত্য ও বানোয়াট। আমি তাদের প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।