পুনঃনিরীক্ষার আবেদন জমা পড়েছে ৭৫ হাজার ৮৯৭টি- ফল প্রকাশ ২১ জানুয়ারি।

পুনঃনিরীক্ষার আবেদন জমা পড়েছে ৭৫ হাজার ৮৯৭টি- ফল প্রকাশ ২১ জানুয়ারি।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছে। এই পুনর্নিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২১ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কমিটির সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
তিনি বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২১ জানুয়ারি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ন কমিটি।
গত ৩১ ডিসেম্বর এসএসসি-সমমানের ফলের পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। যা শেষ হয় গত ৬ জানুয়ারি।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন জমা পড়েছে ৭৫ হাজার ৮৯৭টি। সাধারণ ও মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১০টি শিক্ষাবোর্ডের প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী এসব আবেদন করেছেন। হিসাব বিজ্ঞান, রসায়ন ও ভূগোল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন জমা পড়েছে ২২ হাজার ৮৫৫টি। বেশি আবেদন এসেছে হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন ও ভূগো বিষয়ে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৬৭৯টি। ৪ হাজার ২১৯ জন শিক্ষার্থী এসব আবেদন করেছে। এই বোর্ডেও হিসাবিজ্ঞান, রসায়ন ও ভূগোল বিষয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
সিলেট বোর্ডে ২ হাজার ২৮৪ জন পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৬৮৮টি আবেদন করেছে, যার মধ্যে রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানে বিষয়ে ফল পুননিরীক্ষার আবেদনই বেশি। যশোর শিক্ষাবোর্ডে ৬ হাজার ৮৬৩টি আবদেন জমা পড়েছে। বেশি আবেদন করা হয়েছে ভূগোল ও পদার্থবিদ্যায়।
এছাড়া দিনাজপুর বোর্ডে ৪ হাজার ৯২২টি, চট্টগ্রামে ৭ হাজার ৮২৩টি, বরিশালে ৬ হাজার ১৩৯টি, ময়মনসিংহে ৬ হাজার ৪২০টি এবং রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে ৪ হাজার ৭৩২টি বিষয়ের ফল পুননিরীক্ষার আবেদন জমা পড়েছে।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমোদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর তিন বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে অনেক শিক্ষার্থী পুর্নমূল্যায়নের আবেদন করেছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এমসিকিউ ও তত্ত্বীয় দুটিই যাচাই করা হবে। একটি বিষয় দুজন শিক্ষক দেখবেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ পরীক্ষার্থী। এবার গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। যা দেশে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এছাড়া মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর থেকে এবার সার্বিক পাসের হার বেড়েছে ১০.৭১ শতাংশ। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২.৮৭ শতাংশ।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৯৩.২২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৯ জন। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ৩১৩ জন।
আর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার ৮৮.৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ৫ হাজার ১৮৭ জন।