“নিয়ামতপুর কলেজে জাল সনদে নিয়োগ, এনটিআরসিএ তদন্তে ধরা পরলেন ২ প্রভাষক!”

স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁ।
নিয়ামতপুর কলেজে জাল সনদে নিয়োগ, এনটিআরসিএ তদন্তে ধরা পরলেন ২ প্রভাষক!
নওগাঁর নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী ও সরোজ কুমার দাস জাল সনদে চাকরি নিয়েছেন। জাল সনদে প্রতিষ্ঠানটির বেসরকারি আমলে চাকরি নিলেও সম্প্রতি কলেজটি সরকারি হলে জাল সনদের বিষয়টি ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী ও সরোজ কুমার দাসের সনদটি জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ। একই সাথে জালসনদধারী এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
নিয়ামতপুর সরকারি কলেজটি সরকারিকরণের আগে কলেজে যোগদান করেন মোঃ এরশাদ আলী ও সরোজ কুমার দাস। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে ২৭১টি কলেজের সাথে এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হয়। এরপর আত্তীকরণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই দুইজন প্রভাষকের সনদটি যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের সনদ যাচাই করে প্রতিবেদন দিয়েছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএ দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে সনদটি ব্যবহার করে প্রভাষক মো: এরশাদ আলী ও সরোজ কুমার দাস চাকরি নিয়েছেন তা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ওই প্রার্থীদের নাম, বাবা ও মায়ের নাম আলাদা। সে সনদে বাবা-মায়ের নাম পরিবর্তন করে সনদটি জাল করে নিজের নামে চালিয়ে দেন এই দুই প্রভাষক।
এনটিআরসিএর দেয়া সনদ যাচাই প্রতিবেদনে, জাল ও ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় মামলা রুজু করতে নিয়ামতপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ মমতাজ হোসেন জানান, আমরা এখনো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষর চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি পেলে নির্দেশমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাল সনদ দিয়ে আপনারা কিভাবে এই দুইজন প্রভাষককে নিয়োগ দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিঁনি বলেন ওই জাল সনদধারী দুইজন ২০/০৪/২০১৩ ইং তারিখে নিয়োগ নিয়েছেন আর আমি নিয়োগ পেয়েছি ১৫/০১/২০১৫ তারিখে। তাদের নিয়োগদাতা প্রিন্সিপাল মারা গিয়েছেন তাই এব্যাপারে আর বেশি কিছু বলতে পারছিনা।
এব্যাপারে এই জাল সনদধারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা দৈনিক শিক্ষাকে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।