
স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর মানবিক পুলিশের দায়িত্বশীলতায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ফিরে পেলো তার পরিবার। আজ ২৩ শে সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে রাজশাহী থেকে তার স্বজনরা নওগাঁতে এসে সেই নারীকে নিয়ে যান। গত ২১ শে সেপ্টেম্বর দিনগত রাত সারে ১০ টারদিকে নওগাঁর মান্দা থানাধীন সতীহাট বাজারের নাইট গার্ড মান্দা থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, একজন অজ্ঞাতনামা কম বয়সী মহিলা এলোমেলোভাবে বাজারে ঘোরাফেরা করছে। সে তার নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারে না। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে মান্দা থানা পুলিশ ঐ রাতেই সতীহাট বাজার হতে অজ্ঞাতনামা মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
নওগাঁ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রকৌশলী জনাব আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক অজ্ঞাত মহিলার পরিচয় সনাক্তের জন্য তার ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অনলাইন পত্রিকায় প্রচার করা হয়। অজ্ঞাত মহিলার সাথে কথাবার্তা বলার জন্য একজন চৌকস নারী পুলিশকে নিয়োগ করা হয়। তার মানসিক অবস্থা যাচাই করার জন্য তাকে লেখার জন্য কাগজ কলম দেওয়া হয়। এক সময় তার নাম সম্পা, বিনোদপুর বলে প্রকাশ করে। তখন তার ছবি এবং প্রাপ্ত ঠিকানা অফিসার ইনচার্জ, মতিহার থানা, আরএমপি বরাবর প্রেরণ করা হয়। মতিহার থানা পুলিশ চেষ্টা করেও তার ঠিকানা সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে সে জানায় তার গ্রামের নাম ভুতপাড়া এবং পিতার নাম হোসেন আলী। বিষয়টি মতিহার থানা পুলিশকে পুনরায় অবগত করলে মতিহার থানা পুলিশ বর্ণিত ঠিকানায় সম্পা নামে কোন লোক সনাক্ত করতে না পাড়লেও ঐ এলাকায় তার ছবি দেখিয়ে সে ভুতপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী বলে জানতে পারেন এবং তার নাম চাম্পা খাতুন। সে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার স্বামী তাকে নিতে অস্বীকার করেন। মতিহার থানা পুলিশ আলমগীরের নিকট হতে চাম্পার পিতার ঠিকানা সংগ্রহ করেন। তার পিতার বাড়ি রাজশাহী জেলার কাটাখালী বলে জানতে পারেন। পরবর্তীতে তৎক্ষনিকভাবে উক্ত ঠিকানা দিয়ে ওসি কাটাখালী থানা, আরএমপি এর নিকট প্রেরণ করা হয়। তিনি ছবি ও প্রদত্ত ঠিকানা নিয়ে স্থানীয় অনুসন্ধান করে। চাম্পা খাতুনের মা সহ পরিবারের লোকজন সাথে যোগাযোগ করেন।
পরবর্তীতে আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চাম্পা খাতুন এর মা সহ তার পরিবারের লোকজন নওগাঁর মান্দা থানাতে এসে সনাক্ত করেন। এরপর ওসি মান্দা থানা মানসিক ভারসাম্যহীন চাম্পা খাতুনকে তার মা মোছাঃ বাছিরন বেগমের জিম্মায় প্রদান করেন। পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকার কারনে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুড়ে নারী ফিরে পেলো তার পরিবারকে।