
অহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁয় ছদ্মনাম ধারণ করে বাসায় গৃহকর্মী সেজে কাজ করতে করতে পরিবারের লোকজনকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে বাসায় রক্ষিত নগদ টাকা ও ৩ ভরি ১২ আনা সোনা চুরির অপরাধে মোছাঃ খোদেজা মনোয়ারা তানজিলা (৫০), নামের এক নারীকে ও তাকে সহযোগিতা করার অপরাধে মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, জেলার পোরশা উপজেলার শিতল গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ খোদেজা মনোয়ারা তানজিলা সে বর্তমানে বসবাস করতো জেলার নিয়ামতপুর থানার বিল জোয়ানিয়া গ্রামে মেয়ের বাড়িতে এবং গ্রেফতারকৃত মোঃ আনোয়ার হোসেন জেলার নিয়ামতপুর থানার গোড়াই মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ খয়বর আলী ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত প্রথম আসামী ভুল নাম ঠিকানা দিয়ে জেলার সদর উপজেলার বাদী মাসুদা খানম (৫৭) এর বসত বাড়ীতে আনুমানিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গৃর্হকমী হিসেবে কাজ শুরু করে। ঘটনার অনুমান ১০ (দশ) দিন আগে থেকে বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যদের চেতনা নাশক ঔষধ লেবুর শরবতের সাথে মিশিয়ে পান করাতে থাকে। ঘটনার দিন ২১ সালের জুলাই মাসের ৬ তারিখ রাত অনুমান ১১ টার সময় খোদেজা পূর্ব পরিকল্পনা মতে লেবুর সরবত পরিবারের সবাইকে পান করালে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন ৭ জুলাই সকাল ১০ টার সময় বাদীসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় খোদেজা বাসায় নেই এবং আলমারীতে রক্ষিত ৩৫ হাজার টাকা ও ৩ ভরি ১২ আনা স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়েছে। পরবর্তীতে বাদীসহ পরিবারের অসুস্থ সদস্যরা চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ্য হয় এবং আসামীর দেওয়া নাম-ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজ করে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। এরপর মাসুদা খানম বাদী হয়ে ৩২৮/৩৮১ ধারায় নওগাঁ সদর নওগাঁ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৩/৩১৬, তারিখ-১৪/০৮/২০২১।
এরপর ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোদেজাকে পোরশা থানাধীন শিতলী রনসাদাবাড়ী গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে ২৩ মার্চ ২২ তারিখে রাত সাড়ে ১০ টার সময় গ্রেফতার করে ঘটনা এবং চোরাই মালামাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায় চোরাই মালামাল মান্দা থানাধীন গোপালপুর বাজারে জনৈক অজ্ঞাত স্বর্নকারের দোকানে দিয়া নতুন স্বর্নালংকার তৈরী করে। উক্ত চোরাই মালামাল অপর আসামী তার ভাতিজা আনোয়ার হোসেনের কাছে রক্ষিত আছে। তারপর তাকে নিয়ে মালামাল উদ্ধারের জন্য ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১ টার দিকে গোরাই গ্রামের আসামী আনোয়ারের বসতবাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তাকে চোরাই মালামাল (নতুন স্বর্নালংকার) সম্পর্কে বলিলে সে জানায় তার বুধুরিয়া গ্রামে তার বোন মোছাঃ স্বপ্না খাতুন (৩০) এর বাড়ীতে রেখে এসেছে।

পরবর্তীতে নিয়ামতপুরের বুধুরিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ স্বপ্না খাতুনের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে ২নং আসামীর দেখানো মতে ১ জোড়া স্বর্নের বালা (৫ ভরি ১ আনা ৪ রতি ৭ পয়েন্ট) এবং ১ জোড়া স্বর্নের কানের দুল (৩ আনা ৪ রতি) উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।