ধর্মপুর মাস্টারপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া সভাপতি গঠনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর মাস্টারপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া এসএমসির সভাপতি গঠন অভিযোগ দায়ের।
গত ১২/০১/১৯ তারিখে উপজেলার ধর্মপুর মাস্টারপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন বেগমের বিরুদ্ধে, উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ ও এসএমসি গঠনে ভুয়া জমিদাতা সদস্য দেখিয়ে নিজ স্বামীকে সভাপতি গঠন বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন, ভুক্তভোগী বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য, আতাউর রহমান, আব্দুল মান্নান, মেরিনা বেগম, আঞ্জুয়ারা বেগম।
গত ১৫/১০/১৯ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নির্বাচিত হন।
সরকারী বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎসহ বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতে ব্যাস্ত হয়ে, কৌশলে নিজ স্বামী রফিকুল ইসলামকে দিয়ে, গত ২৩/১০/১৯ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের নামে ১ শতাংশ জমি দান করেন।
সেই ক্ষমতা বলে প্রধান শিক্ষক জেসমিন বেগম, স্বামী রফিকুল ইসলামকে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন।
ভুয়া জমিদাতা সদস্য ও  উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
তদন্ত কমিটি সরেমাটি তদন্ত করে ভুয়া জমিদাতা সদস্য ও উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়।
গত ২৬/০২/২০ ইং তারিখে তদন্ত প্রতিবেদনে বিদ্যালয়ের প্রথান শিক্ষক জেসমিন বেগমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমান ও বিপ্লব হাসান মদিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমানের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীর কথা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মপুর মাস্টারপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি গঠনে নির্বাচন ফাইনাল করা হয়েছে।নির্বাচনের ৮ দিন পুর্বে কৌশলে জেসমিন বেগম স্বামীকে সভাপতি বানানোর জন্য, বিদ্যালয়ের নামে এক শতাংশ জমি দান করেন।ঐ বিদ্যালয়ের প্রকৃত জমিদাতা সদস্য শফিকুল ইসলাম ও রফিউদ্দিন মিয়া।
পরবর্তী বিষয়টি বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যগণের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ধর্মপুর মাস্টারপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে যে কোনো বড় ধরনের ঘাপলা আছে, তা-না হলে প্রথান শিক্ষক জেসমিন বেগম, নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যের ছাড়াই কি ভাবে নিজ স্বামীকে ভুয়া জমিদাতা সদস্য বানিয়ে সভাপতি গঠন করতে চাচ্ছেন।
তারা আরো বলেন, অভিযুক্ত প্রথান শিক্ষক জেসমিন বেগমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমান ও বিপ্লব হাসান মদিনা, প্রতিবেদনে দাবি করলেও দীর্ঘ ৬ মাস পেড়িয়ে গেলেও ব্যবস্থা গ্রহণে দিন ক্ষেপণ করছেন।
একটি সুত্রে জানা যায়, ধর্মপুর মাস্টারপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন বেগম মাত্র ইন্টারপাশে পুর্নাঙ্গ প্রধান শিক্ষক হতে যাচ্ছেন।
হয়তবা সেই কারণে স্বামীকে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে চাচ্ছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএমসি গঠনে ভুয়া জমিদাতা সদস্য ও উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রহণে দিন ক্ষেপণ করায়।
দ্রুত সুষ্ঠ বিচার দাবি করে, শিক্ষামন্ত্রীর সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় সচেতন মহল।

Categories