
মোঃ জামাল মিয়া,বেতাগী, বরগুনা।
গত ৭ দিন ধরে বাম চোখটি হারিয়ে স্বপন ঢাকা জাতীয় বিজ্ঞান ও চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালে অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছেন।
মামলার প্রধান আসামি পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আজ ২৬ শে সেপ্টেম্বর দুপুর ১ ঘটিকার সময় দ্বায়িত্বরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানিয়েছেন শতভাগ নিশ্চিত স্বপন বাম চোখ দিয়ে দুনিয়ায় কোন দৃশ্য দেখতে পারবেন না।
কে এই সোহাগ? কিভাবে সোহাগের উত্থান? ৮ শ্রেণি পাশ করা সোহাগ কিভাবে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক হলো রাতারাতি?এমনই প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের পশ্চিম কাউনিয়া গ্রামে মিজানুর রহমান স্বপনের নানা বাড়ি, নিজ বাড়ি কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে। নানা বাড়িতে বেড়ে উঠলেও কাজ কর্মের জন্য ঢাকায়ই বেশী সময় কাটিয়েছেন।
সোহাগ এবং স্বপনের বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে কাউনিয়া বাজারে ছালমা মনি কে,জি স্কুল প্রতিষ্ঠা করাকে কেন্দ্র করে।কিন্তু বেশি দিন বন্ধু টিকে থাকলো না। গত মাস খানের আগে সোহাগ বাদী হয়ে স্বপন কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। ১৯ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার স্বপন হাজিরা দিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন।
ঘটনার দিন রাত অনুমান পৌনে ১১ টার সময় স্বপন মটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে ৮/১০ জনের একটি গ্রুপ পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে পালিয়ে যায়। স্বপনের মামা পশ্চিম কাউনিয়া নিবাসী মোঃ শাহআলম হাওলাদার বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নাভানা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাউনিয়া বাজার ও সালমা মনি কে, জি স্কুলের পরিচালক মোঃ সোহাগ কে প্রধান আসামি করা হয়েছে। কে টাকা কার কাছে পাবে আর পাবে না এ বিষয়টি একদিন বেড়িয়ে আসবেই কিন্তু স্বপন কি ফিরে পাবে তার চোখ?
সোহাগের পিছনে কে এই ঘটনার মদতদাতা? এলাকার লোকজন ও স্বপনের পরিবারের জোর দাবি প্রশাসনের কাছে সঠিক ভাবে তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।এলাকায় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এমন ঘটনা কাউনিয়া বাজারে এই প্রথম।