খুলনা টিকাকেন্দ্রে নেই শৃঙ্খলা একজন শিক্ষার্থীকে একাধিক টিকা দেওয়ার অভিযোগ।

প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
মোঃ মিজানুর রহমান খুলনা প্রতিনিধি।

খুলনা টিকাকেন্দ্রে নেই শৃঙ্খলা একজন শিক্ষার্থীকে একাধিক টিকা দেওয়ার অভিযোগ।

প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা। এরই মাঝে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকারি ভাবে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের টিকা। অথচ কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা ছাড়াই ঝুঁকির মধ্যে দেওয়া হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ সকল টিকা। খুলনার প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে একই অবস্থা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস এমন আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
কোন প্রকার নিয়ম-শৃঙ্খলা ছাড়াই এ সকল টিকা দেওয়ার কারণে একই শিক্ষার্থীকে একই সময়ে একাধিক টিকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ কেন্দ্রে ওখুলনার বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়। অনেক কে শিক্ষার্থী দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হতে দেখা গেছে ।
জেলায় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাবিব বলেন, যেভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীদের আরো করোনা হবে। সামাজিক দূরত্ব বলে কিছুই নাই এখানে।
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, টিকা দেওয়ার আগেই আমরা করোনা নিয়ে বাসায় ফিরছি। সামাজিক দূরত্ব কোন বালাই নেই এখানে। খুলনা পাবলিক কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং মাথা ঘুরে পড়ে যায়।
খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক বলেন, যেভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে এর মাঝে যদি একজনও করোনা রোগী থাকে তাহলে সকল বাচ্চাদের করোনা হবে। আমরা বাধ্য হয়ে এখানে টিকা নিতে আসছি। মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষক বলেন,২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে টিকা দিতে আসছি। কিন্তু তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি সামাজিক দূরত্ব বলে কিছু নেই। বরং ঠেলাঠেলি হুড়োহুড়িতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা এ সকল সন্তানদের টিকা দেওয়া হোক
খুলনা পাবলিক কলেজের এক অভিভাবক বলেন,আমাদের স্কুলের একজন শিক্ষার্থীকে একাধিকবার টিকা দিয়েছে পরে তার অভিভাবক ভিতরে অভিযোগ করলে কিছু হবে না বলে ফিরিয়ে দেন। তবে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে হলে তার টিকা কার্ড দেখে তারপরে টিকা দেওয়া হয় তাহলে কিভাবে শিক্ষার্থী একাধিকবার টিকা দিতে পারল।
সরকারি মেডিকেল অফিসার ভ্যাকসিন কার্যক্রম ভলেন্টিয়ার শান্তা বিশ্বাস বলেন, প্রথমে শিক্ষার্থী একটি ডেকে নিয়ে যায় পরবর্তীতে তাকে বোঝানো হয় এটা অবশ করার টিকা, এজন্য শেষে আবার দ্বিতীয় টিকাটি নেয়।
খান জাহান আলী থানার মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, খুলনা পাবলিক কলেজের এ অভিভাবক আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করলে বিষয়টি সত্যতা মেলে তবে আমরা ঊর্ধ্বতন ডাক্তার এবং কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না বলে অভিভাবক বাসায় ফিরে যান নিয়ম শৃঙ্খলা উদাসীন ও সচেতনতার অভাবের কথা শিকার করে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডক্টর মোঃ মনজুরুল মুরশিদ বলেন, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাই সর্বক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব উপকৃত হচ্ছে তবে এগুলো যদি প্রশাসনের মাধ্যমে টিকাগুলো দেওয়া হয় তাহলে বাচ্চারা এমন ঝুঁকিতে থাকবে না বলে তিনি জানান। সাধারণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং নিয়ম শৃংখলার মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হোক এমন টাই আশা শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও শিক্ষকদের।

Categories