
যেদিন বঞ্চিতের রণ হুংকারে
কাঁপাইয়া রণস্থল,
ক্ষোভের অণলে পুড়িবে আসন
নিভবেনা ছিটালে গঙ্গাজল।
মিথ্যাচারের সমর রঙ্গে বাজাও
নিজ কৃতিত্বে ঢোল,
বঞ্চিতের ঘৃণার হুংকারে তোর
হৃদয়ে চলবে কান্নার রোল।
ক্ষুধার্ত ব্যাঘ্র কাননে খোঁজে
হরিণ শিকারে দরশন।
অবিকল চিতার ক্ষীপ্রতায়
এসে করিবো আক্রমণ।
সম্মুখে তোমার সরোষে-ই বলি
মসির বাণীর তীক্ষ্ণ ধার।
অসুর জানোয়ারে আঘাত হানিতে
আসিবো আমারা বারংবার।
দাঁড়াও অন্যায়ের প্রতিবাদে
ঘুরে দাঁড়াও এই ক্ষণ।
আঘাতের চিহ্নে গর্জ্জিলা বধে
করবো জারি সমন।
রুখে দাঁড়াও, রণ হতে যদি
করো পলায়ন,
অনিবার্য অপঘাতে মৃত্যু হবে
রাখিও স্বরণ।
ছিঃ? ছিঃ! সেনাপতি সাজো?
ধিক্কার জানাই তোমারে,
বঞ্চিত জেনেও পুতুল দাঁড়াইয়া
আছো এক ধারে।
দেখিছো কি বঞ্চিতের সর্বনাশ
সম্মুখে তোমার?
এমন বৈষম্য বঞ্চনার শিকার হতে,
কখনো দেখিছো আর?
স্বজাতির কষ্টে কাঁদে না প্রাণ,
তোর লালসায় কোহিনুর,
মানবতার চোখ মেলিয়া দেখ,
জনরোষে ক্ষোভ প্রচুর।
সমব্যথী হয়ে স্নেহের পরশ বুলাও
শত্রু গণ্যে নয়।
নিখাদ প্রেমে হৃদয় রাজ্যে
করো স্নেহের বিনিময়।
নিশ্চিত জানিও রণে হলে পরাজয়,
দাসত্বের শৃংখল ভার।
বুক চিতিয়ে ক্ষোভ জানাও
নচেৎ কষ্ট ঘুচিবে না আর।
লেখক
মোঃ সাইদুল হাসান সেলিম