
কি নির্মম পরিহাস
নূরুল ইসলাম
বঙ্গবাসীর জীবনে কি এক নির্মম পরিহাস
অন্তর চোখে পড়লে সে বুঝবে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস।
শত্রু যারে মারল না পাকিস্তানের কারাগারে
অথচ তাকে মারলো দেশের মানুষ আপন ঘরে।
যাদের জন্য সারাজীবন তিলে তিলে সইল নির্যাতন
তারা কেহ বন্ধু হলো না, হলোনা আপন।
বরং তারা শত্রু হয়ে বুকে চালালো গুলি
সোনার মানুষ হলো ছারখার,জীবনগেল জলাঞ্জলি।
বড় আফসোস বড় পরিতাপ করে দিল শেষ
এমন বন্ধুর জন্ম হবে না, সোনার বাংলাদেশে।
বিনা অপরাধে আর কারও দিতে না হয় প্রাণ
মানুষরূপী শয়তান ওরা, ওরাই জানোয়ার।
এখন শোকাবহ ঘটনা শুনে অশ্রু ঝরে চোখে
সোনা পেয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিল,সোনা চিনলনারে।
নিজের জন্য সারাটি জীবন ভাবলো না একবার
এমন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক পাওয়া বড় ভার।
দেশের জন্য দশের জন্য তিনি মহামূল্য মতি
এখন মানুষে আঘাত করিয়ে কেনবা করলে ক্ষতি।
ক্ষতি শুধু দেশের নয়,জাতি ডুবলো অন্ধকারে
বঙ্গবন্ধুর আঘাত পৌছে গেল বাংলার ঘরে ঘরে ।
বঙ্গবন্ধু ছিল বঙ্গভুমিতে সদ্য ফোটা ফুল
সমস্ত বাংলাকে বাসতো ভাল,ছিল না জাতি কুল।
কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের করে নিয়েছেন স্থান
সারা জীবন তিনি গেয়ে গেলেন সত্যের জয় গান।
নিজের কথা,পরিবারের কথা সে ভাবিনি কখনও
দেশের জন্য শুধু বিলিয়ে দিলো জীবন যৌবন।
বাংলার দুঃখের ইতিহাসের কথা কি আর
লিখি হৃদয় মাঝে জ্বলছে আগুন দিবানিশি ধিকি ধিকি।
ব্যথা আর ব্যথা,ব্যথার সাগর গোটা ইতিহাস
জুড়ে যা ঘটেনি বিশ্বের কোথাও যুগ যুগান্তরে।
বঙ্গবন্ধু এসেছিল উল্কার বেশে
বাঙ্গালি পেয়ে ধন হারাইল কপালের দোষে।
আজও শোনা যায় মর্মভেদী কান্নার ধ্বনি
ধানমন্ডির সেই বত্রিশ নম্বর ভবনে।
১৫ই আগস্ট বিভীষিকাময় কাল রাত্রি
নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক হারিয়েছে বাঙালি জাতি।
যাকে আমরা সারাটি জীবন স্মরণ করব,
শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।