কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবক্সে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৩,৮৯,৭০,৮৮২ টাকা।

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২২

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবক্সে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৩,৮৯,৭০,৮৮২ টাকা।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খুলে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা টাকা পাওয়া গেছে। টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, রিঙ্গিত, দিনারসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও মিলেছে। এর আগে সর্বশেষ টাকার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ  ৩,৭৮,৫৩,২৯৫ টাকা।

শনিবার রাতে টাকা গণনার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, “মসজিদের আটটি দানসিন্দুক থেকে প্রাপ্ত ১৫ বস্তা টাকা টানা ১০ ঘণ্টা গণনা করে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। এটি এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।”

এর আগে চলতি বছরের ২ জুলাই সর্বশেষ দানসিন্দুক খোলে তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তবে চলতি বছরের ১২ মার্চ দানসিন্দুক থেকে মিলেছিল তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মিয়া জানান, মসজিদের প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়।

সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জে অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সের অধীনে আছে মাদ্রাসা ও এতিমখানা।

জানা যায়, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।


Categories