
কলেজ সরকারিকরণের হ-য-ব-র-ল প্রক্রিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারী। আবদুল হক।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩০২ টি কলেজকে সরকারিকরণের জন্য বিগত ১৭/৫/২০১৭ খ্রিঃ তারিখে নির্বাচিত করা হয়। ২০১৬ সালে উপজেলাভিত্তিক একটি করে স্কুল ও একটি করে কলেজকে সরকারিকরণ করে শিক্ষাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার এ মহান উদ্যোগকে দেশবাসী স্বাগত জানায়।
তারপর শুরু হয় যাচাই বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। ২০১৬ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর যাচাই বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
২০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানগুলো ডিড অব গিফট সম্পন্ন করে। শিক্ষকদের আত্মীকরণকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন,মামলার ফসল “আত্মীকরণ বিধিমালা-২০১৮” এর আওতায় নতুন উপহার “নন ক্যাডার”।
১৩/৩/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পদসৃজনের লক্ষ্যে তিনটি ছকে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয় । যথা সময়ে তথ্য প্রদান করে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এবার শুরু বঞ্চনা, অপেক্ষা আর অপেক্ষার ষড়যন্ত্র। দীর্ঘসুত্রিতার কৌশলের একটি প্রক্রিয়ায় হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে শুরু হয় ডিজি অফিসের যাচাই বাছাই। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে লেখা হয় আসংখ্য মন্তব্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্থবিরতা আসে এর কারণে।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, করা হবে আবার যাচাই বাছাই।
হঠাৎ করেই ০১/০৬/২০২০ খ্রি. তারিখে যাচাই–বাছাই কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে পূর্বে যারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি’র) প্রতিবেদনে অযাচিত মন্তব্য লিখেছিলেন তাদেরকেই অন্তর্ভূক্ত করে যাচাই–বাছাইয়ের জন্য ০৫টি উপ–কমিটি গঠনের অফিস আদেশ জারি করা হয়।
ঃ কচ্ছপ গতিতে চলছে এ প্রক্রিয়া ঃ
সকল মূল কাগজ পত্রাদি বার বার যাচাই–বাছাই করার কারণে সময়ক্ষেপণ ও টাল–বাহানা এবং দীর্ঘসূত্রিতার জন্য ছাত্র–ছাত্রী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক–কর্মচারীসহ সবাই সরকারিকরণের সুযোগ–সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে প্রায় চার হাজার শিক্ষক কর্মচারী সরকারিকরণের সুযোগ সুবিধা না পেয়েই অবসরে চলে গেছেন। বর্তমানে ২৯৯ টি কলেজের ক্ষেত্রে বর্তমান কর্মরতদের মধ্যে যাদের বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের নাম কর্তন করে পদ সৃজনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যা অযৌক্তিক, অমানবিক, বৈষম্যমূলক, নিয়ম বর্হিভূত ও মানবাধিকারের সুপষ্ট লংঘন।
এমতাবস্থায় এরকম অমানবিক প্রস্তাব পুনঃবিবেচনা করার জন্য করতিপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নিরুপায় হয়ে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস) আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন গত ২৬ আগস্ট ২০২০ খ্রিঃ তারিখ জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির নাসিরনগর সরকারি কলেজ ইউনিট ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এর সাথে সাক্ষাৎ করে একটি আবেদনপত্র প্রদান করেন।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে এম.পি. মহোদয় বলেন, শিক্ষাবান্ধব বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি হয়েছে। আশা করছি আপনাদের এ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং এলাকার জনগণ শিঘ্রই এর সুফল পাবে।