“কলেজ শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক পদ বহাল সহ ৫ দফা দাবি”

প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০
মোঃ ফজলে রাব্বী :

কলেজ শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক পদ বহাল সহ ৫ দফা দাবি।

উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ বহাল রাখা, ১০ বছর পূর্তিতে প্রভাষকদের ৯ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেডে পদায়ন, নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে পূর্বের ন্যায় ১২ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রভাষকদের উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ প্রদান, ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রভাষকদের অধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ প্রদান ও মুজিব বর্ষে সকল বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভোলার বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বরে) সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ভোলা জেলা কমিটির ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন  বেসরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষা মন্ত্রী বরাবর লিখিত স্বারকলিপি জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম সিদ্দিকীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী ও নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাকসুদুর রহমান, ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ। ইলিশা ইসলামিয়া মডেল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম, আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন, ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, রত্নেশ্বর হালদার, ইলিশা ইসলামিয়া মডেল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: হারুনুর রশিদ, মোঃ ফখরুল আলম, মোঃ শাহাদাত হোসেন, হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সফিকুল ইসলাম, মোঃ আবুল কাশেম,  ব্যাংকের হাট কো অপারেটিভ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রফিকুল্লাহ সবুজ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা যখন অনেকটাই শিথিল হওয়ার পথে ঠিক তখনই বিগত ২ সেপ্টেম্বরে এমপিও নীতিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ভার্চুয়াল সভায় কতিপয় বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করায় তারা মর্মাহত হয়েছেন। উক্ত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি না দিয়ে তার পরিবর্তে সিনিয়র প্রভাষক পদের সৃষ্টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে একই কলেজের কোন শিক্ষক অধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে না পারা অন্যতম।
অনতিবিলম্বে উল্লেখিত বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো  শিক্ষা নীতিমালার খসড়া থেকে বাদ দিয়ে প্রভাষকদেরকে ১০ বছরে ৭ম গ্রেডে পদায়ন, উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি উভয় ক্যাটাগরির কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ বহাল রাখা ও অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের আইন সংশোধনের দাবি স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। মো:/ফ/রা

Categories