করোনায় মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. কিশোর ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছেন

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন,মুরাদনগর,কুমিল্লা।
কুমিল্লার মুরাদনগরে হু হু করে বাড়ছে করোনা। অধিকাংশ লোক যেখানে নিজ এবং পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে ব্যস্ত সে অবস্থায় কৃষকের ধান কাটা, দলীয় নেতা-কর্মীদের মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার কর্মচারী, উপজেলার দুই থানার পুলিশ সদস্যদের, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স সংবাদ কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন।

শুধু তাই নয়, খেটে খাওয়া অসহায় মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশ সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নবীন বয়সে করোনাকালে এ উপজেলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মধ্যে তিনিও নিজেকে জায়গা করে নিয়েছেন। যার প্রশংসা এখন সকলের মুখে মুখে। তিনিই হচ্ছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ৫ বারের সফল সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকারের একমাত্র ছেলে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর।
মুরাদনগর সদরের জিন্নত আলী, ধামঘর গ্রামের তাহের মিয়া, বাবুটিপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম, বোরারচর গ্রামের প্রফুল্ল দাস, পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া, বাঙ্গরা গ্রামের তপন মিয়া, বলেন, লকডাউনের সময় যখন আমাদের কোন কাজ কাম ছিল না, তখন না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়। ওই সময়ে চেয়ারম্যান সাহেব গাড়ী নিয়ে আমাদের এলাকায় আসেন এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। যার ফলে ৮/১০দিন নিশ্চিন্তায় বাড়িতে ছিলাম। এখন কাজকাম আছে, তাই আমাদের এখন আর সমস্যা হয়না। বিপদের সময় তাকে কাছে পেয়ে আমরা মহা খুশী।
বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের মাইনকা গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, আমার ৪৫ শতক জমির ধান কাটার জন্য কোন মানুষ পাই নাই। আমার এলাকার সাখাওয়াত ভাইকে বিষয়টি জানালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানায়। এ খবর পেয়ে একদল নেতা-কর্মী নিয়ে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর ভাই আমার ধান কেটে বাড়িতে দিয়ে আসেন। এ ঘটনাটি আমার জীবনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। ঘটনাটি মনে হলেই আমি শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। কারন তিনি একজন যোগ্য লোককে নৌকা দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন।