
সৌমিত্র সাহা ,আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি।
করোনায় আখাউড়ায় শিক্ষার হালচাল।
গত ১৮/৩/২০২০ তারিখ থেকে অদ্যাপি প্রায় ৫ মাস যাবত আখাউড়া সহ সমগ্র বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা সব বনধ রয়েছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা কালীন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইন ভিওিক ক্লাস শুরু করে-যা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ছাএ-ছাএীরা যেন মানসিক ভাবে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকে সে লক্ষে অনলাইন ভিওিক ক্লাস শুরু করে।
শিক্ষাকে সরকার ছাএ- ছাএীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য নানাবিধ প্রনোদনা, উপবৃত্তি এমনকি করোনাকালীন সময়ে ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা প্রদান করা হয়। সরকারের নানাবিধ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী করার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাশ ছাত্রছাত্রীদের জন্য কতটুকু উপযোগী? বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে করোনাকালিন সময়ে ছাএছাএীদের অনলাইন ক্লাশ করানো হচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আখাউড়া বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাএছাএীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনলাইন ক্লাস খুবই একটি উপযোগী পদক্ষেপ।
কিন্তুু গ্রামাঞ্চলে অনেক ছাএছাএী তারা মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে না,তারা অভিভাবকদের থেকে মোবাইল নিয়ে ব্যবহার করা জটিল। তাছাড়া যাদের মোবাইল আছে, তারা এই অনলাইন ভিওিক ক্লাসের সাথে শিক্ষকদের ক্লাসের কোন লিংক থাকে না। তাছাড়া অনলাইন ভিওিক ক্লাস করতে তাদের আগ্রহ নেই।
আরেকটি সমস্যা শিক্ষকদের অনেকের কাছে ভালোমানের মোবাইল নেই। এমনকি এইসব মোবাইল দিয়ে ভাল মানের ক্লাস আপলোড করা যায় না। অনেকে অর্থিক অসুবিধার কারনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। স্কুল ভিওিক যদি অনলাইন ক্লাসগুলো করানো হতো তাহলে ক্লাসটি সুন্দর হয়। বাসায় বসে প্রযুক্তি ও নেটওয়ার্কের স্বল্পতা এবং বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে ক্লাস নিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় না।
ছাএছাএী ও শিক্ষকদের মাঝে সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা আরো নানাবিধ কারণে এই অনলাইন ভিওিক ক্লাস তাদের উপকার আসছে না বলে বিভিন্ন অভিভাবক মতামত দেন।