
কবি ইদ্রিছ আলীর দুটি কবিতা।
কবিতার নাম⇒ “নষ্ট মানুষ” কবি ইদ্রিছ আলী।
সাধু সেজে শয়তানি করলে ওরে নরপিশাচ,
আজ না-হয় কাল চলে যাবে কিন্তু
এ ধরায় রয়ে যাবে তব নোংরামির ইতিহাস।
আল্লাহর ঘরে নামাজ পড়ে,
অন্যায় করলে জীবন ভরে,
ভয় নেই তোর, ওহে নিষ্ঠুর,
ক্ষনিকের এই ধরনী যেতে হবে ছেড়ে।
আজাজীল্ ছিলেন মুজাদ্দিদ, ছিলেন ফেরেশতার সর্দার,
মিষ্টার ইবলিশ নাম করণ হয়েছে কারণ ছিল অহংকার।
মানুষকে, মানুষ ভাবতে কিসের দ্বিধা দন্ধ,
মানুষ হয়ে মানুষেরে যে অযথা হয়রানি করে
তব নসিব মন্দ।
যদি মানুষ হয় মানুষের জন্য,
তাহলে সেই মানুষ কেন হবে তব ধারে বাজারের পন্য?
কেন তোমাকে ভাবতে হবে,
সংখ্যা লঘু হলো হিন্দু,ইহুদি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান,
সকলকে মানুষ হিসেবে ধারণ করতে হবে
তুমি তো মুসলমান।
মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলছে পুতুল খেলা,
আমি অপদার্থ তাদেরকে মানুষ- বলিনা বলবে কোন কালা।
অমানুষ গুলো দেখতে হুবুহু মানুষের মতো,
উদাহরণ হিসাবে আনতে পারি
সাবরিনা সাহেদ করিম আরও কতো শত।
হায়রে অমানুষ তোদের কর্নকোহরে ঢুকে না কেন?
মানুষের আত্মা চিৎকার,
তুমি দেশদ্রোহী, তুমি অধিকার হরণকারী, তুমিই রাজাকার।
তোমার খাবার, উচিৎ ছিল-
বিলিয়ে দেবার, অনাহারীর ঘরে,
তব দাপটে, জাতি সংকটে,
কতো মজলুম না খেয়ে ধুঁকে ধুকেঁ মরে।
ঘুম ভাঙলে সকাল, না ভাঙলে পরকাল,
দম ফোরালে ঠুস, জাতি আজ জেনে গেছে
তোমরাই নষ্ট মানুষ।
ΩΩΩΩ
কবিতার নাম⇒ “বিষাদ জীবন” কবি ইদ্রিছ আলী।
কষ্ট নামের রং দিয়ে
জীবন নামের তুলি নিয়ে সুখের ছবি আকিঁ,,
মিথ্যা কিছু আশা করেছে মোরে কোন্ঠাসা
কিভাবে মনকে পূর্ণ রাখি।
অজস্র আঘাত হৃদয়ে
হাসি নামের অভিনয়ে কান্নাকে লুকাই,,
না পাওয়াকে আড়াল করে
প্রেসার দিয়ে মাটির ঘরে স্বপ্ন কিছু সাজাই।
জীবনের এই চলার পথে
অনেক বন্ধু মম সাথে শেষ বিকেলে একা পথিক,
করতে মোরে নিবিড় পরিচর্যা
খোলা থাকবে প্রীতির দরজা এখন দেখলুম সবই অতীত।
কাঁধবে বসে উচ্চস্বরে
থাকতে আমায় চিনলে নারে তবে চিনবে মরে গেলে,,
মৃদু হেসে বলবে তখন
আজ কেন-রে হল এমন ভাসবি নয়ন জলে।
অপরকে ভেবে অতি আপন
ভেঙে গেল হাজার স্বপন বাজবে হঠাৎ করুন সূরে শেষ বিজ্ঞাপন,,
হতে পারলে তুমি স্বাদু
মুখে রবে নামের মধু নইলে কিন্তু বিষাদ জীবন।
ΩΩΩΩ