কবিতা: শিক্ষকের মর্যাদা

কবিতার নাম—শিক্ষকের মর্যাদা
লেখক–মোঃআঃ কদ্দুছ
অজ্ঞকে প্রাজ্ঞ করেন শিক্ষাগুরু,
তাঁর শিক্ষা না পেলে জীবন হতো শুস্ক মরু,
বাবামাশুধু জন্মইদেন মানুষ করেন গুরু,
সু শিক্ষা না পেলে সন্তান হয় তড়কা গরু।
পরিবারে মা বাবা শিখায় আদবকায়দা,
মায়ের ভূমিকা অনেকটাই বাবা থেকে আলাদা,
যেভাবে মা পারিবারিক শিক্ষা দেন সন্তানে
বিদ্যালয়ে প্রতিফলন হয় অনেকটাই সে মানে।
এছাড়াও পরিবারের অন্য রাও কিছুটা শিখায়,
প্রতিবেশী থেকেও সন্তানগন অনেকটা শিক্ষা পায়।
সমাজে যারা জীবনে চলার জন্য শিখায় তাও শিখন,
শিখন দেওয়ার ভূমিকার সবাই শিক্ষা গুরু হন।
সকল জীবের মহান গুরু স্বয়ং আমাদের প্রভু
সৃজনের পর শিক্ষা দিয়ে আদমে, দক্ষিনা চান নি কভু।
আদম ফেরেস্তায় সবকিছু শিক্ষার জবাব দেন বলে
তাঁদের ওস্তাদ বলে খোদা তাঁদের সেজদা করতেবলে।
যুগে যুগে মানব শিক্ষার প্রয়োজনে নবী রাসুল এলেন ভবে,
সেমতে তাঁরাও শিক্ষক রুপে মানবের সন্মান পানতবে।
আধ্মাতিক শিক্ষায় যে গুরু শিষ্যে শিক্ষা দান করে
তাঁরা ও ভক্তি শ্রদ্ধার আশা করেে মুরীদানদের তরে।
শিক্ষায়তনে যাঁরা শিখান তাঁরা ছাত্রথেকে শদ্ধাভক্তির পুরুদার,
গুরুকে ভক্তিতে স্রষ্টার সন্তুষ্টি দুকুলেই সবাই পাড়ির অংশীদার।
স্রস্ট্রার রুস্টতায় শিষ্যের কোন গতি নেই দুপারেই,
বাচঁতে হলে শিক্ষাগুরুর মূল্যায়ন করতে হবে এপারেই।
তাইতো শিক্ষকের মর্যাদা সবার উপরে,
জন্মদাতা মাবাবার অবস্হান ও তার পরে।
পৃথিবীর যারা মহান বিখ্যাত হয়েছেন,
ওস্তাদের মর্যাদা তাঁরা সবার উপরে রেখেছেন।
সকল ধর্ম ই শিক্ষকের মূল্যায়ন বড়করে দেখেন,
হিন্দু ধর্মে গুরুকে ঐশী শক্তির মূর্ত প্রতীক বলেছেন।
গুরুর সেবা না করলে কোন দেবতাই পুজা নেয়না,
গুরু খুশী হলে দেবীর পুজা অর্চনা লাগেনা।
গুরুর দক্ষিণা একলব্য তাঁর লেখার অংগুলীই দিলো,
গুরুর সেবার জন্য আশরাফ থানবী ওস্তাদের জুতা মাথায় নিলো।
গুরুর ভক্তির জন্য বাদশা আলমগীরের ওস্তাদের পায়ে পানি দি লো
আলমগীর সন্তানকে দোষারুপ করলো কেন সে পা হাতে না ধুলো!
তাতেই কি সম্রাটের সন্মান হানি হলো আদৌ,
বরং তাঁর মান বেড়েই গেলো আরও!
ওস্তাদের সাথে বেয়াদবির কুফল তিনটি হয়,
স্নরণ শক্তি কমে বেইমানহয়ে অকাল মরণ হয়।
শিক্ষকের মর্যাদায় সকল কিছুই হয়বরকতময়, ,
শিক্ষকের মূল্যায়নে স্রস্টা খুশী হলে সবকিছু লাভময়।
বাবামাকে তাঁদের গুরুজনে মান্য করতে দেখে
সন্তানেরাও অনুরুপে ভক্তি শ্রদ্ধা করেওস্তাদ কে।
নবীর শিক্ষা ওস্তাদবড়দের তাজিম, ছোটদের নাকরলে স্নেহ
সে তাঁর ওম্মত নয় তাই তারা কখনও সুপারিশ পাবে নাকেহ।
তাই সকলে শিক্ষক গুরুজনেরে কর সন্মান ভক্তি,
তবেই সবার জীবন ফুল ফসলে হবে উন্নতি।
যেদেশে শিক্ষক কূল তাঁদের যথাযথ মর্যাদা পায়না,
সেজাতি অন্যায় দূর্ণীতি মুক্ত আত্ম মর্যাদাশীল হয়না।
শিক্ষক তাঁর মূল্যায়ন সঠওকপেলে সে জাতি সুশিক্ষা পায়,
সেদেশের নাগরিকের উন্নতির সাথে কেউ পেরে উঠেনা।
সৎ দুর্ণীতি ঘোষ মুক্ত আত্মমর্যাদা শীল জাতি গড়তে হলে,
শিক্ষকের মর্যাদা বাড়িয়ে মেধাবী আদর্শ দের শিক্ষক পেলে।
আগামী সুশীল প্রজন্মের শিক্ষকের আগমন চাই,
মর্যাদা শীল আত্ম মর্যাদা শীল জাতির জন্মদিয়ে যাই।