
সারারাত জেগে ভোরে ঘুমায়,
বসে থেকে পাশে আমারও ঘুম পায়।
ঘুমে গিয়ে সে স্বপ্নে কথা বলে,
ঘুমিয়েই সে পাড়িদেয় কত ছন্দতলে।
আষাঢ়ের ভোর আকাশটা মেঘ জমা,
ঘুড়ুমতুড়ুম শব্দে তার ঘুমে হয় কমা।
ঘুমতো নয় যেন পুষ্পের নিঃশব্দে পাপড়ি মেলা,
ঘুমের ঘোরেই সে ভাসিয়ে দেয় কোন কল্পনা ভেলা।
ঘুমেই ছুটে চলে সে ভেসেই কোন এক অজানা দেশ,
যেখানে পেলো সে এক অপূর্ব অনুভূতির মধু পরিবেশ।
সেখানে দেখলো সে ভালোবাসার রং জলসা চলছে,
চুপি চুপি কেযেন কানেপ্রাণে মনহরা গানেগানে বলছে,
তুমি মোর ছায়া ঘেরা মেঘে আকাশের রংধনু মেলা,
তোমাতে জ্বলে বলছে অপূর্ব মায়ার মিতালী খেলা।
তুমি হারা আমি মরুচারী এক উন্মাদ বেদুইন মুছাফির,
তুমি মোর মরুদ্যান সাহারার ভালোবাসার ঝর্ণাগভীর।
আমার আকাশ তোমাতেই প্রকাশ রংধনুর খেলায়,
মৃদুকম্পনে বয়ে যাওয়া দখিনা মলয় ঘুড়ির ভেলায়।
আমার ভালোবাসার স্বপ্ন গিতালী সূর তোমাতেই বাজে,
ময়ুরপংখী ডানা মেলে পেখম তুলে মধুপরিবেশ সাজে।
আমার আগামী বর্তমান ভালোবাসার খেয়া ঘুমে প্রাণ,
রাগরাগিনীর সুরেলা পদধ্বনির ছন্দগাঁথা রচনাগান।
আমার আমিত্বে স্বকীয় সত্তায় ভালোথাকা তুমি রাণী,
আমি জেগেবসেপ্রহর গুনছি, দেখছি তোমায় ঘুমরাণী।
তুমি ঘুমাও আরও স্বপ্নদেখা ঘুম আষাঢ়ের ভোরে,
আমি ঘুম ভাংগাবোনা তোমার মোর প্রিয়নাম সূরে।
আলো ছায়া মেঘলা জীবন হউক প্রকাশ তোমাতে,
আমি রইবো চেয়ে অনেকটা সকাল রুদ্রময় আলোতে।
তুমি মোর সূর্য উঠা ভোর সকালেরপ্রথম কুজন গীতি,
তোমাতেই বাজুক গান প্রাণহরা বাঁশরী স্বপ্ন স্হৃতি।
তোমার স্বপ্নদেখা ভোরে আমি তোমায় খুঁজবোনা,
ভালোবাসার স্বপ্নগীতিতে তোমার সূর আমি তুলবোনা।
ঘুমিয়ে যাপেয়েছো তাতে আমি আর ভাগচাইবোনা,
তুমি আমার বেদনামধুর ঘুম রানীকল্পনার আল্পনা।
আষাঢ়ে মেঘে দমকা বাতাসে উড়ানো ঘুড়ি তুমি,
সূতা হাতে খোলা মাঠে ছুটছি তোমায়নিয়ে আমি।
যাবেনাতো সূতো ছিড়ে দূরে কোথাও হারিয়ে,
ভালোবাসার বন্ধন মাড়িয়ে, দিগন্ত রেখা ছাড়িয়ে।
ঘুমরাণী মোর ঘুমে হারিয়ে আছো দূর কোন বনবাসে,
ঘুম ভাঙা রাংগা সকাল , দাঁড়িয়ে তোমার দূয়ারে এসে।
উঠো এবার, একটু হেসে বরণ কর আষাঢ়ে সকাল,
সকালের সাথে মিতালী গড়ে, নাও তোমার অনন্তকাল।