কক্সবাজার সৈকত খুলছে ১৭ আগস্ট

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০

দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ আগস্ট থেকে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজার পৌর এলাকা কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রগুলো শর্ত-সাপেক্ষে সীমিত আকারে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সৈকত ভ্রমণ আর পর্যটন কেন্দ গুলো চালু করা হবে। ফলে আবারো দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এতে করোনাকালীন ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ জেলার পর্যটন কেন্দ গুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এরপর লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময়সীমা শেষ হলেও বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ গুলো। এতে দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল পর্যটকদের আনাগোনা।

কামাল হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত-সাপেক্ষে সীমিত আকারে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজার পৌর এলাকা কেন্দি ক পর্যটন কেন্দ গুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে জেলার অন্যান্য বিনোদন কেন্দ গুলো পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত বন্ধ থাকবে। এর আগে করণীয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিনোদন কেন্দ গুলো চালু করতে নীতিমালা তৈরি করেছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে পর্যটন কেন্দ গুলো চালু করা যায় সেটির নির্দেশনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটন কেন্দ গুলো খুলে দিতে সেক্টরভিত্তিক এসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিটি সেক্টরের জন্য আলাদা আলাদা করে কিছু শর্ত আরোপের কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন কারা করবে তারও উল্লেখ রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা তদারকি করবেন। তবে স্বাস্থ্যবিধিসহ নির্দেশনার অন্যান্য শর্তাবলি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ গুলো খুলে দেয়ার খবরে এ খাতের ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে সৈকতের আশপাশে কিছু কিছু ঝিনুকের দোকান নিজেদের জিনিসপত্র গোছাতে দেখা গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের বাধার মুখেও মাঝে-মধ্যেই ছুটে চলছে সৈকতের ঘোড়াগুলো, বিচ ফটোগ্রাফাররা ছুটছেন পর্যটকদের আশায়।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, গত ৪ মাস পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৭ আগস্ট প্রশাসন পর্যটন খুলে দিচ্ছে তাতে আমরা খুশি। পর পর দুটি ঈদ আমাদের কোনো ব্যবসা ছাড়াই চলে গেছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি স্পটে স্বাস্থ্যবিধি সরঞ্জামসহ ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন থাকবে।
গত ২৬ মার্চ থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলার সব পর্যটন স্পট বন্ধ করে দেয়া হয়।


Categories